ডাকসু নির্বাচন ঘিরে পদাবনতি : স্বপদে ফিরছেন ঢাবি শিক্ষক শবনম

আগের সংবাদ

ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ আরোহীর মৃত্যু, দায় কার : গেটম্যানের অনুপস্থিতি নাকি মাইক্রোবাস চালকের অবহেলা > গেটম্যান নাজিম আটক

পরের সংবাদ

যুদ্ধাপরাধ মামলা : বটিয়াঘাটার ছয় রাজাকারের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে খুলনার বটিয়াঘাটার ৬ রাজাকারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামি হলেন- আমজাদ হোসেন হাওলাদার, সহর আলী সরদার, আতিয়ার রহমান, মোতাছিম বিল্লাহ, কামাল উদ্দিন গোলদার ও নজরুল ইসলাম। এদের মধ্যে পলাতক নজরুল ইসলাম ছাড়া বাকি ৫ আসামি রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর হায়দার আলী, মোখলেসুর রহমান বাদল, সুলতান মাহমুদ সীমন, রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিদের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ান ও গাজী এম এইচ তামিম।
রায় ঘোষণার পর প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের সব অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে ৬ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।
জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর এ মামলার তদন্ত শুরু করে প্রসিকিউশনের তদন্ত দল। এরপর ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। পরের বছর এ মামলার অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ : প্রথম অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ১০ আগস্ট আমজাদ হোসেন হাওলাদারসহ ৪-৫ জন রাজাকার বটিয়াঘাটার মাছালিয়া গ্রামের শান্তি লতা মণ্ডলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিনোদ মণ্ডলকে অবৈধভাবে আটক-নির্যাতন, অপহরণ ও গুলি করে হত্যা করেন। দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ১৫ অক্টোবর বটিয়াঘাটার পূর্বহালিয়া গ্রামের চাপরাশী বাড়িতে হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র হরিদাস মজুমদারকে আটক, নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করেন আসামিরা। তৃতীয় অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২১ অক্টোবর হিন্দু সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করতে বটিয়াঘাটার সুখদাড়া গ্রামে হামলা চালিয়ে নিরীহ নিরস্ত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের ৪ জনকে হত্যা, ৪-৬টি বাড়ির মালামাল লুট ও অগ্নিসংযোগ করেন তারা। চতুর্থ অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বর আসামিরা বটিয়াঘাটার বারো আড়িয়া গ্রামে হামলা চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধা জ্যোতিষ মণ্ডল এবং আব্দুল আজিজকে গুলি করে হত্যা করেন আসামিরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়