ডাকসু নির্বাচন ঘিরে পদাবনতি : স্বপদে ফিরছেন ঢাবি শিক্ষক শবনম

আগের সংবাদ

ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ আরোহীর মৃত্যু, দায় কার : গেটম্যানের অনুপস্থিতি নাকি মাইক্রোবাস চালকের অবহেলা > গেটম্যান নাজিম আটক

পরের সংবাদ

উইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করল ভারত

প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : তিন ম্যাচ সিরিজের ওয়ানডেতে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে পাত্তাই পেল না স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ঘরের মাঠে বৃষ্টিবিঘিœত তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে উইন্ডিজকে ১১৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। শুভমান গিলের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর যুবেন্দ্র চাহালের দারুণ বোলিংয়ে উইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করল ভারত। এছাড়া আজ পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ভারতের মুখোমুখি হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই ম্যাচ জয়ের জন্য দুই দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
১৯৮৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরের মাঠে দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজ খেলা শুরু করে টিম ইন্ডিয়া। এরপর থেকে গত পরশু পর্যন্ত উইন্ডিজের মাটিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ভারত কখনো স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করতে পারেনি। ফলে এই জয়ে ওয়ানডেতে ক্যারিবীয়দের তাদের মাঠে প্রথমবারের হোয়াইটওয়াশ করল ভারত। এই জয়ের সুবাদে ম্যাচসেরা ও সিরিজ সেরা পুরস্কার হাতে তুলেছেন ভারতীয় ওপেনার শুভমান গিল। তবে এত কিছুর পরও আক্ষেপে পুড়ছেন তিনি। কারণ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম শতকের খুব কাছে গিয়েও ২ রানের আক্ষেপে অপরাজিত থাকতে হয় ৯৮ রানে। ২২ বছর বয়সী এই ওপেনারের মধ্যে রোহিত শর্মার ছায়া দেখছেন ধাওয়ান। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, শুভমানের ব্যাটিং টেকনিক বেশ ভালো। সে একজন ক্লাসি প্লেয়ার। আমার মনে হয়, তার মধ্যে কিছুটা রোহিতের ধাঁচ আছে। যেভাবে সে ব্যাট করে মনে হয়, তার সামনে অনেক সময় আছে। ও ৯৮ রান করেছে দেখে ভালো লাগছে। শুভমান জানেন কীভাবে ফিফটিকে নব্বইয়ের ঘরে নিতে হয়।
এদিকে পোর্ট অব স্পেনের কুইন্স পার্ক ওভালে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক শেখর ধাওয়ান। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে সফরকারী দুই ওপেনার। ক্যারিবীয় বোলারদের বিপক্ষে শুরু থেকে চওড়া হন শেখর ধাওয়ান ও শুভমান গিল। তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সামনে পাত্তাই পাচ্ছিলেন না উইন্ডিজের বোলাররা। ভারতের দুই ওপেনার মিলে ১১৩ রান তোলেন। তবে এরপরই প্রথম উইকেট হারায় ভারত। হাফসেঞ্চুরি তুলে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ধাওয়ান। তিনি ২২.৫ ওভারে ক্যারিবীয় লেগ স্পিনার হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়রের বলে মিডউইকেটে ধরা পড়েন। ৭৪ বলে ৭ চারে ৫৮ রান করেন ধাওয়ান। তার বিদায়ে ভাঙে ১১৩ রানের শুরুর জুটি। এর একটু পরেই বৃষ্টির জন্য বন্ধ হয়ে যায় খেলা। ফের শুরু হওয়ার পর প্রথম ওভারেই ঝড় তোলেন শ্রেয়াস আইয়ার ও শুভমান। তারা দুজন টি-টোয়েন্টি ঘরানার ব্যাটিং করে রান তুলতে থাকেন দ্রুত। তবে দলীয় ১৯৯ রানে শ্রেয়াস আইয়ার আউট হন। তিনি ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন। এতে ৮৬ রানের জুটি ভাঙে। এরপর ক্রিজে উইকেট কামড়ে থাকতে পারেননি সুরিয়াকুরার যাদব। তিনি ৬ বলে ৮ রান করেন। তিন উইকেট হারালেও রানের চাকা সচল রাখেন গিল। তিনি হাঁটতে থাকেন সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু ৩৬ ওভারে ৩ উইকেটে ২২৫ রান তোলার পর ফের বৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকে। ফলে বৃষ্টির কারণে ওভার কমে যাওয়ায় শুভমান ৯৮ ও সঞ্জু স্যামসন অপরাজিত থাকেন ৬ রানে। এরপর ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে (বৃষ্টি আইনে) ক্যারিবিয়ানদের লক্ষ্য ঠিক হয় ৩৫ ওভারে ২৫৭ রান। এই লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল টপ অর্ডারের কারো বড় ইনিংস। কিন্তু স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের ক্রিজে কোমর সোজা করে দাঁড়াতেই দেননি ভারতীয় বোলাররা। দ্বিতীয় ওভারে তিন বলের মধ্যে কাইল মেয়ার্স ও শামার ব্রুকসকে সাজঘরে পাঠান মোহাম্মদ সিরাজ। দুজনের কেউই খুলতে পারেননি রানের খাতা। দলীয় শূন্য রানে ২ উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে উইন্ডিজরা। এরপর দলের হাল ধরেন ওপেনার শাই হোপ। তিনি দেখেশুনে খেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রথম পাওয়ার-প্লের শেষ ওভারে চাহালের বলে স্টাম্পড হন শাই হোপ। তিনি এক ছক্কায় ২২ রান করেন। এরপর মিডল অর্ডারে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দলকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন নিকোলাস পুরান ও ব্র্যান্ডন কিং। কিন্তু দুজনই বিদায় নেন বড় ইনিংসের সম্ভাবনা জাগিয়ে। ব্র্যান্ডন ৩৭ বলে ৪২ করে অক্ষর পাটেলের বলে বোল্ড হন। পুরান ৩২ বলে ৪২ করে হন প্রসিধ কৃষ্ণার শিকার। মজার বিষয় হলো রানের মতো তাদের দুজনের বাউন্ডারিও সমান। পুরান ও ব্র্যান্ডন ৫ চার ও ১টি করে ছক্কা হাঁকান। তারা দুজন আউট হওয়ার পর আর লড়াইও করতে পারেনি স্বাগতিকরা। ক্যারিবিয়ানদের শেষ ৬ ব্যাটসম্যানের মাত্র ১ জন যেতে পারেন দুই অঙ্কে। দশে নেমে হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র করেন ১০ রান। হতাশার ব্যাটিংয়ে ৯ ওভার বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। ২৬ ওভারে স্বাগতিকরা অলআউট হয় ১৩৭ রানে।
এছাড়া ১৭ খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেন ভারতের সফলতম বোলার রিস্ট স্পিনার চেহেল। আর দুটি করে উইকেট নেন সিরাজ ও শার্দুল ঠাকুর।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়