শিনজো আবের প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা

আগের সংবাদ

ভোট ঘিরে তৎপর কূটনীতিকরা

পরের সংবাদ

ড. মোস্তাফিজুর রহমান : রপ্তানি-রেমিট্যান্স বাড়ানো দরকার

প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সিপিটির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে অবশ্যই অর্থনীতি একটি বড় চাপের মধ্যে আছে। সরকার সতর্কতামূলক কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা থেকেও এ বিষয়ে ধারণা করা যায়। এছাড়া আমরা তো আগে থেকেই বলেছি, এমন পরিস্থিতিতে অনেক ধরনের উদ্যোগ নেয়ার প্রয়োজন আছে। যেসব পদক্ষেপ সরকার নিচ্ছে, এগুলো ঠিকই আছে। ব্যয় সাশ্রয়ী বিভিন্ন পদক্ষেপ, প্রকল্পগুলোর মধ্যে ক্যাটাগরি ভাগ করা, আমদানির কোনো কোনো ক্ষেত্রে এলসি মার্জিন বাড়িয়ে অনুৎসাহিত করা, কিছু কিছু আমদানি বন্ধ করা, ব্যয় সাশ্রয়ী বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া, বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে বাজেটারীয় সাপোর্ট, আইএমএফএর সঙ্গে ব্যালেন্স অব পেমেন্টস সাপোর্ট বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করা- এগুলো ঠিক আছে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে আরো আগেই পদক্ষেপ নেয়া দরকার ছিল। যেমন- টাকার অবমূল্যায়ন রোধে আগে থেকে পদক্ষেপ নিলে ভালো হতো। এখন দাম বেড়েছে। আবার অবমূল্যায়নের ফলে স্থানীয় মুদ্রায় দাম আরো বেড়েছে। ফলে আমদানিকৃত মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে একসঙ্গে দুটো ধাক্কা লেগেছে। এ বিষয়গুলো সমস্যাকে আরো বেশি ঘনীভূত করেছে।
ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অর্থনীতির বৈশ্বিক ও জাতীয় চাপ মোকাবিলায় সরকারকে সুপরিকল্পিত উদ্যোগ নিতে হবে। আমাদের রপ্তানি কীভাবে বাড়ানো যায়, আরো কীভাবে প্রবাসী আয় আনা যায়, রপ্তানি খাতে যেন আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে টাকা না যায় বা আমদানির সময়ে ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে টাকা না চলে আসে অর্থাৎ রপ্তানিতে আন্ডার ইনভয়েসিং, আমদানিতে ওভার-ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে ক্যাপিটাল ফ্লাইট রোধ করার জন্য সরকারের আইনের প্রয়োগের ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী করতে হবে। অন্যদিকে রপ্তানি আয় বাড়াতে প্রণোদিত করতে হবে, প্রবাসীয় আয় বাড়াতে আরো উৎসাহিত করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারের যেসব প্রকল্প বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে তা ঠিক আছে। কিন্তু যেসব ক্ষেত্রে ব্যয় হচ্ছে, সেগুলো যেন সুশাসনের সঙ্গে হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রেও সুশাসন বজায় রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বৈশ্বিক একটি চাপ আছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু আমাদের ব্যবস্থাপনার উৎকর্ষতার মাধ্যমে এ চাপ কাটাতে হবে। ব্যয় সাশ্রয়, বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ এবং সম্পদ আহরণে আরো নজর দেয়া। যত আমরা স্থানীয় সম্পদ বেশি আহরণ করতে পারব, আমাদের পলিসি স্পেস তত বাড়বে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়