শিনজো আবের প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা

আগের সংবাদ

ভোট ঘিরে তৎপর কূটনীতিকরা

পরের সংবাদ

জাতীয় দলের ক্রিকেটার শহীদুল দশ মাস নিষিদ্ধ : আইসিসির ডোপ টেস্টে পজেটিভ

প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশের হয়ে একটি মাত্র আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা পেসার শহীদুল ইসলামকে ১০ মাস নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। ডোপ টেস্টে পজেটিভ হওয়ার কারণে সব ধরনের ক্রিকেট কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। আইসিসির ডোপিং বিরোধী কোডের ২.১ নম্বর ধারা ভেঙেছেন এই টাইগার ক্রিকেটার। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছে আইসিসি।
বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি উল্লেখ করেছে, গত ৪ মার্চ আইসিসির অধীনে চলা অ্যান্টি ডোপিং কার্যক্রমে নমুনা প্রদান করেন শহীদুল ইসলাম। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার মূত্রে ক্লোমিফেনের উপস্থিতি পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অ্যান্টি ডোপিং সংস্থা (ওয়াডা) কর্তৃক নির্ধারিত নিষিদ্ধ ওষুধের তালিকায় রয়েছে ক্লোমিফেন। শহীদুল অবশ্য ইচ্ছাকৃতভাবে ওই ওষুধ সেবন করেননি। সংস্থাটি বলেছে, অন্য একটি অসুখের কারণে বৈধভাবে দেয়া ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী একটি ওষুধ সেবন করেন তিনি। তবে সেটিতে ছিল ক্লোমিফিন। পুরো ঘটনাটিতে শহীদুলের দিক থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো অবহেলা বা দোষ খুঁজে পায়নি আইসিসি। নিজের পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য তিনি এমন করেননি, এ ব্যাপারেও আইসিসিকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন শহীদুল। তবে এরপরও শহীদুলকে নিষিদ্ধ করার পেছনের কারণ হিসেবে আইসিসি বলেছে, শহীদুল এটা মেনে নিয়েছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে ডোপিংবিরোধী নিয়মের কারণে তার ওপর অর্পিত যে দায়িত্ব, সেটি পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। সংস্থাটি আরো বলছে, ২৭ বছর বয়সি এ পেসার ১০ মাসের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি মেনে নিয়েছেন। গত ২৮ মে স্বেচ্ছায় অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার জন্য রাজি হন শহীদুল। তার মূল নিষেধাজ্ঞাও শুরু হবে ওই দিন থেকেই। ফলে আগামী বছরের ২৮ মার্চ ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন তিনি।
এদিকে বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, অসুস্থতার কারণেই ওই ওষুধ সেবন করেছিলেন শহীদুল। তবে সে সময়ে তাকে দেয়া ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বিসিবির

সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি তিনি। পরে দেখা গেছে, ওই ওষুধটি নিষিদ্ধ ঘোষিত। বিসিবির এক সদস্য আরো জানিয়েছেন, যোগাযোগের ঘাটতি আর অসচেতনার কারণে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হয়েছে এই পেসারকে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিটি আন্তর্জাতিক সিরিজ বা ঘরোয়া কোনো টুর্নামেন্ট শুরুর আগে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া প্রত্যেক খেলোয়াড়কে বোর্ডের মেডিকেল বিভাগ থেকে ডোপিং বিষয়ে সচেতন করা হয়। শহীদুলের ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে, সে তার ব্যক্তিগত একটি সমস্যার কারণে ক্রিকেট বোর্ডের বাইরে তার এক পরিচিত ডাক্তারকে দেখান। সেই ডাক্তার স্পোর্টস ফিজিশিয়ান না হওয়ায় তাকে যে মেডিসিন নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিল, সেখানে একটু ঝামেলা হয়। তবে সেই ডাক্তার নিজে বলেছেন এখানে ডোপিংয়ের কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। যে কারণে শহীদুল পরে বিসিবিকে এই বিষয়টি আর অবগত করেনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো নবীন শহীদুল। খেলেছেন মাত্র একটি ম্যাচ। গত বছরের নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হারের পথে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি খেলেন তিনি। সেই ম্যাচে নিয়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ানের উইকেট। নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দলে থাকলেও সেরা একাদশে জায়গা পাননি তিনি। এছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান সিরিজেও ছিলেন বাংলাদেশ দলে। কিন্তু চোটের কারণে সফরের আগেই ছিটকে গিয়েছেন এই তরুণ পেসার। শহীদুলের আগে বাংলাদেশের হয়ে সবশেষ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন অনিক ইসলাম। ২০২০ সালের জুলাইয়ে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তাকে। অবশ্য আইসিসি নয়, অনিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শহীদুলের আগে সবশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে নিষিদ্ধ হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান জুবায়ের হামজা। গত মে মাসে ৯ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়