সিদ্দিকুর রহমান শাহীন, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) থেকে : নীলকমল নদী দিয়ে ভাগ হওয়া ফুলবাড়ীর ৬ গ্রামের প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটির ওপর সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। এলাকাবাসী নিজেদের উদ্যোগে প্রথমে বাঁশের সাঁকো ও পরে কাঠের সেতু তৈরি করেন। সেটিও দুই প্রান্তে ভেঙে গেছে। এখন ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় সেতুটি।
মাঝিপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, মাস্টারপাড়া, হিন্দুপাড়া, মুন্সিপাড়া, পশ্চিম নগরাজপুর- এই ছয় গ্রামের মানুষ ২০১৭ সালে ভাঙ্গামোর ইউনিয়নে নীলকমল নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো এবং ২০২১ সালে কাঠের সেতু নির্মাণ করেছেন। সেতুটি কয়েক জায়গায় ভেঙে গিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ সেতু পার হয়েই পশ্চিম নগরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খোলারহাট, পাখিরহাট, খোচাবাড়ী, খড়িবাড়ী হাট ও উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতু দিয়েই জরুরি চিকিৎসা সেবা নিতে এবং উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে আনা-নেয়া করতে এলাকাবাসী ও কৃষকরা পড়ছেন ভোগান্তিতে।
স্থানীয় ইদ্রিস আলী, বেলাল হোসেন, সিরাজুল ইসলাম ও ভাঙ্গামোর ইউপি সদস্য মাহাবুবুর রহমান জানান, অনেক আগে এলাকাবাসী নিজস্ব উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে কোনো রকমে কষ্ট করে পারাপার হতো। ২০২১ সালে আবার চলাচলের জন্য কাঠের সেতু তৈরি করে এলাকাবাসী। তারা আরো জানান, এখন সেতুটির দুই মাথা ভেঙে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। এখানে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে কাঠের সেতুর পাটাতন খুবই পিচ্ছিল হয়। অনেকেই সেতু পারাপারের সময় পিছলে পড়ে আহত হচ্ছেন।
ভাঙামোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শেখ জানান, এই কাঠের সেতুটি প্রায় ৮৫ ফুট লম্বা এবং কাঠ খুব তারাতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাই এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা জরুরি। এজন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।