গাইবান্ধার নশরৎপুর : আড়াইশ পরিবার পাবে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর

আগের সংবাদ

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ : চ্যালেঞ্জের সামনে দেশের অর্থনীতি

পরের সংবাদ

বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করুন

প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ভার্সিটির হলে বিদ্যুৎ কখনোই যায় না। মাসে দুই-একবার গেলেও কয়েক মিনিটের বেশি লোডশেডিং থাকে না। কিন্তু খুব কম লোক দেখা যায়, যাদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে ন্যূনতম সচেতনতা আছে। সকালবেলা উঠে সবাই ক্লাসে চলে যায় আর রুমে চার-পাঁচটা ফ্যান, লাইট চলতে থাকে। বছরে কয়েক কোটি টাকারও বেশি বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হয় বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে। তার চেয়েও বড় কথা এত গুরুত্বপূর্ণ একটা শক্তির একরকম নিদারুণ অপচয় মোটেও কাম্য নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যেন লেখাপড়ার ব্যাঘাত না ঘটে, গবেষণা কাজে যেন কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্যই এই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়া হয়। এটাকে আমরা অপচয়ের বিশাল ক্ষেত্র বানিয়ে ফেলেছি। সারাদেশে বর্তমানের বিদ্যুৎ সংকট থেকে শিক্ষা নিয়ে সবার বিদ্যুৎ অপচয় থেকে বিরত থাকা উচিত। বাসাবাড়িতে দেখা যায় যে এসি, টিভি, ফ্যান, লাইট আমরা প্রয়োজনের থেকে অপ্রয়োজনে বেশি ব্যবহার করি। জনসাধারণের সবার উচিত অপ্রয়োজনে বিদ্যুৎ অপচয় না করা। হঠাৎ করে এখন বিদ্যুতের যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে বলা যায় না। তাই আমাদের সবার বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
দোকান, বিভিন্ন শোরুম, শপিংমল, মার্কেট, রেস্টুরেন্ট, হোটেল এগুলো রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করা উচিত বলে আমি মনে করি। কারণ ব্যক্তিগতভাবে দেখেছি অনেক দোকান, শোরুম, শপিংমল, মার্কেট, রেস্টুরেন্টে কাস্টমার না থাকলেও অপ্রয়োজনে এসি, লাইট, ফ্যান চলতেই থাকে। এখানে বিদ্যুৎ অপচয় সব থেকে বেশি হয়, কারণ ৭০ শতাংশ দোকান, শোরুম, শপিংমল, মার্কেটে লাইট ও এসির ব্যবহার অনেক বেশি। বিদ্যুতের এই সংকট মোকাবিলায় আমাদের সবার এখনই বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়া উচিত এবং প্রয়োজন না হলে বিদ্যুৎ অপচয় করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

সাজিদ রাজু : শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়