গাইবান্ধার নশরৎপুর : আড়াইশ পরিবার পাবে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর

আগের সংবাদ

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ : চ্যালেঞ্জের সামনে দেশের অর্থনীতি

পরের সংবাদ

কুরবানির বর্জ্য অপসারণ : নাগরিকদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে

প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রাজধানীর বিভিন্ন মহল্লার রাস্তা-অলিগলিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে পশুর বর্জ্য, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। কেউ কেউ পশুর বর্জ্য নালায় ফেলছেন। নালা বা নর্দমায় ফেলা বর্জ্য থেকে ছড়ায় নানা ধরনের রোগের জীবাণু। অতিরিক্ত বর্জ্যরে চাপে নর্দমা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। এসব বর্জ্য পচে চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে করে চলাচলে নগরবাসীর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অথচ দুই সিটি করপোরেশন বলছে বর্জ্য অপসারণ হয়ে গেছে। বাস্তব চিত্র কিন্তু ভিন্ন। গতকাল ভোরের কাগজে প্রকাশিত একটি খবরে বলা হয়েছে, বিভিন্ন রাস্তা, রেললাইনের পাশে ও ড্রেনে কুরবানির পশুর ফেলে দেয়া অংশ, টুকরো টুকরো চামড়া, জমাটবাঁধা রক্ত পড়ে আছে। এসব স্থানে বর্জ্যবাহী গাড়ি না যাওয়ায় বা পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের চোখে না পড়ায় পরিষ্কার করতে দেরি হচ্ছে। বিশেষ করে দুই সিটির অভিজাত এলাকার বাইরে সাধারণ ওয়ার্ডে, নিম্নাঞ্চলে এবং নতুন অন্তর্ভুক্ত ওয়ার্ডগুলোয় এই দৃশ্য চোখে পড়েছে। অনেক সময় আমরা কুরবানির পশুর দেহের ভক্ষণ অযোগ্য অংশবিশেষও যেখানে-সেখানে ফেলে রাখি। নগর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর না হলে সেসব অংশ পচে উৎকট দুর্গন্ধ ছড়ায়। নগর কর্তৃপক্ষ অবশ্য প্রতি কুরবানির ঈদের আগে বর্জ্য অপসারণ সম্পর্কে নির্দেশনা দেয়, জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালায়। এখানে আমরা কতটা সচেতনতার পরিচয় দিচ্ছি? পশুর বর্জ্য অপসারণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন যে সাফল্য দাবি করেছে, তার যথার্থতা সম্পর্কে আমরা কোনো মন্তব্য করছি না। কেননা তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। তাদের কার্যক্রমে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করেছে। বর্জ্য অপসারণের কাজ সময়মতো করার জন্য দুই সিটি করপোরেশনই পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে, জরুরি টেলিফোন নম্বর দিয়ে জানানো হয়েছে। এখানে নাগরিকদেরও দায়িত্ব রয়েছে। কুরবানির তিন দিনে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য তৈরি হয়, যা সিটি করপোরেশনের নিয়মিত জনবল ও সরঞ্জাম দিয়ে অপসারণ করা সম্ভব নয়। আমাদের দায় রয়েছে। আজ আমাদের সমাজ যে ডেঙ্গুর মহামারির সম্মুখীন হয়েছে তার মূল কারণ আমাদের ব্যক্তিগত অসচেতনতা, অপরিচ্ছন্নতা এবং সামাজিক দায়িত্বহীনতা। শতভাগ সফল না হলেও দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই তারা গুরুত্বের সঙ্গে বর্জ্য অপসারণের কাজটি দ্রুততম সময়ে করার চেষ্টা করছে। উন্নত বিশ্বে পশুর সব ধরনের উচ্ছিষ্ট প্রক্রিয়াজাত করে কাজে লাগানো হয়। আমরা ইচ্ছা করলেই তা করতে পারি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বেশি প্রয়োজন জনসচেতনতা, জনগণের অংশগ্রহণ। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এ বর্জ্যকে বদলে দিতে পারে সম্পদে। এ বিষয়ে ভাবনার সময় এসেছে। নগরকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর রাখতে সিটি করপোরেশনকে যেমন সদা তৎপর হতে হবে, তেমনি নাগরিকদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে। এ ব্যাপারে সবাই দায়িত্বশীল হবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়