গ্রেপ্তার ৪ ডাকাত : বন্যার কারণে বেড়ে যেতে পারে ডাকাতি আশঙ্কা পুলিশের

আগের সংবাদ

আ.লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

পরের সংবাদ

রাঙ্গামাটিতে পিতা ও পুত্রসহ গুলিতে নিহত ৩

প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নন্দন দেবনাথ, রাঙ্গামাটি থেকে : জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গম বড়থলি ইউনিয়নে অজ্ঞাতদের গুলিতে বাবা ও ছেলেসহ তিনজন নিহত এবং এক শিশু আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাত ১০টায় বড়থলি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাইজাম ত্রিপুরা পাড়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতোমং মারমা। নিহতরা হলেন- বিশ্ব চন্দ্র ত্রিপুরা (৫৫), সুভাষ ত্রিপুরা (২২) ও ধনরা ত্রিপুরা (১৬)। এর মধ্যে বিশ্ব চন্দ্র ও সুভাষ ত্রিপুরা সম্পর্কে বাবা-ছেলে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান। আহত শিশুর নাম সূচনা ত্রিপুরা (২)।
ইউপি চেয়ারম্যান আতোমং মারমা বলেন, বড়থলির দুর্গম গ্রামের এই পাড়াটিতে কয়েকটি বম ও ত্রিপুরা পরিবার বসবাস করে আসছে। মঙ্গলবার রাতের দিকে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাদের ওপর হামলা করলে তিনজন নিহত হন। এ হামলায় ২ বছরের এক শিশু কন্যা গুরুতর আহত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এর আগে মে মাসে গ্রামবাসীর ওপর হামলা হয়। তখন নিরাপত্তার অভাবে অনেক পরিবার বান্দরবানের রুমায় চলে যায়। কিছু দিন আগে কয়েকটি পরিবার ফিরে আসে, আর তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফারুয়া-বড়থলি এসব এলাকা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি নিয়ন্ত্রিত এলাকা। সেখানে নিয়ন্ত্রণ নিতে মাঝেমধ্যে সংস্কার বম পার্টি, কুকি চীন নামে নতুন সংগঠন হানা দেয়। বম পার্টিদের ধারণা, এলাকাবাসী জেএসএসকে সহযোগিতা করে। এ ধারণা থেকে হামলা করতে পারে। তবে মোবাইল নেট ও ইন্টারনেট সেবা না থাকায় সেখান থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। রাঙ্গামাটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারছে না।
রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাহমুদা বেগম বলেন, আমরা হতাহতের ঘটনা শুনেছি। তবে এটা কতটুকু সত্য-মিথ্যা এখনো নিশ্চিত নই। দুর্গম এলাকা সেখানে পুলিশ সদস্য পৌঁছানো খুবই কঠিন। আমরা বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিচ্ছি।
প্রসঙ্গত, বিলাইছড়ি উপজেলার সবচেয়ে দুর্গম এই ইউনিয়নে সড়ক যোগাযোগ ও যাতায়াত ব্যবস্থা নেই। মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন এ ইউনিয়নে চাইলেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। রাঙ্গামাটি-বান্দরবানের সীমান্তবর্তী এই ইউনিয়নটির মানুষের যাতায়াত মূলত বান্দরবানের রুমা উপজেলা হয়ে। যে কারণে রাঙ্গামাটির স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকেও তথ্য পেতে বেগ পেতে হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়