দৈনিক ওঠানামার মধ্যেই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী

আগের সংবাদ

জনগণের সাহসেই পদ্মা সেতু : বন্যার দুর্ভোগ ও ক্ষতি কমাতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার > বিএনপির নেতা কে? সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

পদ্মায় ফের ভাঙন শুরু : ঈশ্বরদীতে হুমকির মুখে প্রতিরক্ষা বাঁধ

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীর সাঁড়ায় পদ্মা নদীতে আবারো ভাঙন শুরু হয়েছে। নদী তীরবর্তী কয়েকটি গ্রামের মানুষের মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক বাড়ছে। ভাঙনের ফলে হুমকির মধ্যে রয়েছে নদীর বাম তীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ও লালনশাহ সেতু রক্ষাবাঁধটি। গ্রামবাসীর আশঙ্কা ভাঙনের তীব্রতা বাড়লে হুমকির মধ্যে পড়বে বাঁধটি।
কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, দেশের বিভিন্ন নদনদীর পানি বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হু-হু করে পানি বাড়ছে পদ্মায়। সাত-আট দিনে নদীতে প্রায় পাঁচ ফুট পানি বেড়েছে সাঁড়া ঘাটের সীমানায়। পানি বাড়ার কারণে সাঁড়ার ৫ নম্বর ঘাটের সামনের চরের প্রায় অর্ধশত বিঘা জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সরজমিন গিয়ে জানা যায়, বর্ষা শুরু হতে না হতেই এবার বাঁধের সীমানার খুব কাছাকাছি পদ্মার ভাঙন এগিয়ে এসেছে। এতে নদী তীরবর্তী মানুষ অনেকটা শঙ্কায় রাত কাটাচ্ছেন। সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে সাঁড়ার থানাপাড়া ও ব্লকপাড়ায় বাঁধের সামনের জমি ভাঙছে। পানির তোড়ে এরই মধ্যে বাঁধের সামনের প্রায় ১০ বিঘা জমি নদীতে বিলীন হয়েছে।
সাঁড়ার ঝাউদিয়া গ্রামের আ. আজিজ বলেন, কয়েক মাস আগে সাঁড়ার এই নদীর পাড়ে সরকারি উদ্যোগে বালুর বস্তা ফেলে

ভাঙনরোধ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। পানি বাড়তে থাকায় আবারো নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙতে ভাঙতে বাঁধের প্রায় কাছে চলে এসেছে। এতে আমরা আতঙ্কে আছি।
একই গ্রামের হালিম মণ্ডল বলেন, সাঁড়ার ব্লকপাড়া বাঁধের কাছে নদীতে পানির চাপ খুবই বেশি। এখানে নিচে ‘গলন’ থাকায় পানির চাপে দুই দিনে বাঁধের সামনে প্রায় ৬০ মিটার জমি নদীতে বিলীন হয়েছে।
সাঁড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার বলেন, এর আগেও ভাঙন দেখা দেয়ায় সাঁড়ায় পদ্মার কয়েকটি স্পটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে তিন দফায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছিল। জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের ফলে তখন নতুনভাবে আর ভাঙন হয়নি। তবে এবারের পরিস্থিতি তিনি মৌখিকভাবে শুনেছেন। বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে তিনি ভাঙনরোধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানাবেন বলে উল্লেখ করেন।
নদীভাঙনের সত্যতা স্বীকার করে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারোয়ার জাহান সুজন বলেন, ইতোমধ্যে ভাঙন-কবলিত এলাকা সরজমিন দেখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া কিছুদিন আগেও সাঁড়ার এলাকাটি পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি গুরুতর হলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এমন পরিস্থিতিতে ভাঙনরোধের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরির কাজও চলছে।
পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ নুরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, বাঁধ নির্মাণের আগে এই এলাকার শত শত বিঘা জমি, বাড়িঘর, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এলাকার মানুষ আর যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়