কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : নবম ধাপে শেষ হওয়া ইউপি নির্বাচনে ইভিএম মেশিনের প্রিন্ট কপি না দেখিয়ে পক্ষপাতমূলক ফল ঘোষণার অভিযোগ এনে পরাজিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং এক সংরক্ষিত নারী সদস্য সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবে পৃথক পৃথক এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
পটুয়াখালী জেলার ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়নে গত ১৫ জুন নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আনছার উদ্দিন মোল্লাকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। অপর দুই ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতীকের (স্বতন্ত্র) মো. শফিকুল আলম ও ইসলামী আন্দোলন মনোনীত (হাতপাখা) প্রার্থী মো. মোসলেম মুসুল্লী মুছা প্রিজাইডিং অফিসারদের বিরুদ্ধে হাতে লেখা ভোটের ফল ঘোষণার অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে আরো বলেন, ইভিএমের প্রিন্ট কপি পোলিং এজেন্টদের না দেখিয়ে মৌখিকভাবে মো. আনছার উদ্দিন মোল্লাকে কারচুপির মাধ্যমে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
এ সময় আমাদের এজেন্টরা প্রিন্টেড কপি চাইলেও তারা না দিয়ে এজেন্টদের স্বাক্ষর চেয়েছেন। এসব নিয়ে ভোটকেন্দ্রে বিক্ষোভ হয়েছে। আমাদের এজেন্টরা ঘোষিত ফল চ্যালেঞ্জ করলে তারা পুলিশি সহায়তা নিয়ে ফলাফল সিটে স্বাক্ষর গ্রহণ ছাড়াই ভোটকেন্দ্র থেকে সটকে পড়েন।
হাতপাখ প্রতীকের পরাজিত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মোসলেম মুসুল্লী মুছা বলেন, ইতোমধ্যে আমরা লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ইভিএমের প্রিন্ট কপি সরবরাহের আবেদন করেছি।
পরাজিত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শফিকুল আলম বলেন, ভোট গ্রহণের পর ভোটকেন্দ্র থেকে কোনো প্রিন্টেড কপি না পেয়ে রিটার্নিং অফিসার ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুর রশীদের কাছে ধরনা ধরেও কোনো লিখিত কপি পাইনি।
আমরা গ্রহণযোগ্য সমাধান না পেলে অচিরেই আদালতের শরণাপন্ন হব। একই অভিযোগ করেন ওই ইউনিয়নের ১, ২, ৩নং ওয়ার্ডের পরাজিত সংরক্ষিত নারী সদস্য পদপ্রার্থী মাসুমা আকতার নাসরীন (কলম প্রতীক)। তার পক্ষে বাবা মো. মোস্তফা মিয়া প্রিন্টেড কপি না পেলে আদালতে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুর রশীদ পরাজিত ইউপি প্রার্থীদের সংবাদ সম্মেলনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ইভিএমের কোনো প্রিন্টেড কপি সরবরাহের বিধান নেই।
ফল দেখার এবং আপত্তি করার উপযুক্ত সময় হচ্ছে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার মুহূর্তে। কোনো প্রার্থী তখন কথা না বললে এর দায় আমাদের নয়।