সোহেল চৌধুরী হত্যা : শেষ দিনেও দাখিল হয়নি কেস ডকেট

আগের সংবাদ

ভয়াবহ বন্যায় দিশাহারা মানুষ

পরের সংবাদ

স্পিডবোট-লঞ্চডুবি ও ফেরি দুর্ঘটনায় মৃত্যু এখন অতীত

প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দেব দুলাল মিত্র : পদ্মা সেতু চালু হলেও লঞ্চ ও স্পিডবোর্ট চলাচল কমবে। এতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই নৌরুটে স্পিডবোট ও লঞ্চডুবি এবং ফেরি দুর্ঘটনায় প্রাণহানির দিন শেষ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে ৩০ টনের বেশি যানবাহন চলাচলের জন্যই শিমুলিয়া ফেরিঘাটটি বিকল্প রুট হিসেবে সচল থাকবে। ফেরির সংখ্যা কমানো হবে।
জানা গেছে, ২০২১ সালের ৪ মে পদ্মা নদীতে বড় ধরনের দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত হন। থেমে থাকা বালুবোঝাই কার্গো জাহাজের সঙ্গে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই স্পিডবোটের ধাক্কা লাগলে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ওই দুর্ঘটনার পর স্পিডবোটের মালিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এছাড়া লঞ্চ দুর্ঘটনা ও স্পিডবোট দুর্ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে। চলতি বছরে কয়েক দফায় পদ্মা সেতুর পিলারের সঙ্গে ফেরির ধাক্কা লাগার ঘটনাও ঘটেছে। এরপর সেতুর নিচ দিয়ে ফেরি ও লঞ্চ চলাচলের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এখনো বিধিনিষেধ আরোপের মধ্য দিয়েই শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিরকান্দি নৌরুটে লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরি চলাচল করছে।
তবে আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পরের দিন থেকেই সব ধরনের যানবাহন সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল শুরু হবে। এর ফলে ফেরি পারাপার, স্পিডবোর্ট ও লঞ্চে যাত্রী পারাপার একেবারেই কমে যাবে। দ্রুত নদী পার হওয়ার জন্য যাত্রীদের কোনো তাড়া থাকবে না। বেশি ট্রিপ দেয়ার জন্য লঞ্চও স্পিডবোর্ট চালকদের হুড়োহুড়ি করতে হবে না। এতে এই নৌরুটে দুর্ঘটনায় ও প্রাণহানির দিন শেষ হবে।
বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই নৌরুটে ৮৬টি লঞ্চ প্রতিদিন যাত্রী পারাপার করে। এছাড়া বড় বড় বাস কোম্পানির যাত্রীদের পারাপারের জন্য নিজস্ব লঞ্চ থাকে। পদ্মা সেতু চালু হলে সব বাস সেতু দিয়ে চলাচল করবে। তাদের লঞ্চের প্রয়োজন হবে না। নিয়মিত লঞ্চগুলো যাত্রী না পেলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় কমবে।

এছাড়া পদ্মা সেতু চালু হলে ঈদ মৌসুমেও নৌরুটে যাত্রীর চাপ থাকবে না। এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও থাকবে না।
তবে ২১ জেলার সঙ্গে নৌরুটে যোগাযোগের জন্য ঘাটটি চালু রাখা হবে। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান আহমদ শামীম আল রাজী জানান, ৩০ টনের বেশি ওজনের ট্রাক পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে পারাপার হবে না। এ ধরনের যানবাহন চলাচলের জন্যই বিকল্প রুট হিসেবে শিমুলিয়া ফেরিঘাট সচল থাকবে।
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিরকান্দি নৌরুট থেকে বিআইডব্লিউটিসি প্রতিদিন আড়াই হাজারের বেশি যানবাহন পারাপার করে। এতে এই সংস্থাটি প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করছে। পদ্মা সেতু চালু হলে এই আয় কমে যাবে। তবে আয়ের উৎস কিছুটা হলেও ধরে রাখার জন্যই ফেরিঘাটটি চালু রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই বিষয়ে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীও একমত পোষণ করেছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এই ফেরিঘাট থেকে ফেরির সংখ্যা কমিয়ে ভোলা অথবা উত্তরবঙ্গের কয়েকটি নৌরুটে যুক্ত করা হবে। ফেরিগুলো কোথায় যুক্ত করা যায় সে লক্ষ্যে বিআইডব্লিউটিসি ৭/৮টি এলাকায় সার্ভে করছে। যেখানে ফেরির প্রয়োজন বেশি বলে মনে হবে সেখানেই ফেরি যুক্ত করা হবে। চাঁদপুর-মাদারীপুর ফেরিঘাটেও আরো ফেরি যুক্ত হতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়