মির্জা ফখরুল : খালেদার কিছু হলে দায় নিতে হবে সরকারকেই

আগের সংবাদ

কুমিল্লায় ইসির ‘এসিড টেস্ট’

পরের সংবাদ

৯ দিন পরও বিএম কন্টেইনার ডিপো থেকে হাড়গোড় উদ্ধার

প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : সীতাকুণ্ডে বেসরকারি মালিকানাধীন বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ৯ দিন পর ধ্বংসস্তূপ থেকে মানুষের কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে কন্টেইনার ডিপোর বিভিন্ন স্তূপ থেকে এসব হাড় উদ্ধার করা হয় বলে জানান সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক। তবে কোন হতভাগ্যের হাড়গোড় এভাবে পড়েছিল তা জানতে ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন হবে। তিনি জানান, উদ্ধার করা হাড়গুলোর মধ্যে একটি পায়ের ছোট অংশ ও শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড় রয়েছে। তবে সেগুলো এক ব্যক্তির নাকি বিভিন্ন ব্যক্তির তা নিশ্চিত নয়। তাই উদ্ধার করা হাড়গুলো সংগ্রহ করে ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। সংগ্রহ করা নমুনাগুলো পরে সিআইডি ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত: গত ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর একের পর এক বিস্ফোরণে তা ছড়িয়ে পড়ে। ডিপোতে থাকা রাসায়নিকের কারণে ছড়িয়ে পড়া ওই আগুন ৮৬ ঘণ্টা পর বিভিন্ন বাহিনীর চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে।
ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে প্রথমে ৪১ জনের মরদেহ উদ্ধার করে বিভিন্ন সংস্থা। গত ৭ জুন দুর্ঘটনাস্থল থেকে আরো দুজনের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়। পর দিন সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় একজন। সেদিন সন্ধ্যায় ডিপোর ভেতরে আরো দুজনের দেহাবশেষ পাওয়া যায়। সর্বশেষ রবিবার ভোরে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যান ফায়ার সার্ভিস কর্মী গাউসুল আজম। আর দুপুরে চট্টগ্রামের বেসরকারি পার্ক ভিউ হাসপাতালে মারা যান কন্টেইনার ডিপোর আরেক কর্মী নুরুল কাদের।
স্মরণকালের এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে এখনো অনেকেই চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যাদের অধিকাংশই ডিপো শ্রমিক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ফায়ার সার্ভিস কর্মী, বিভিন্ন ট্রাক কভার্ড ভ্যানের চালক, হেলপার এবং পুলিশ সদস্য। ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের কারণ, ক্ষয়ক্ষতিসহ বিভিন্ন বিষয় তদন্তে ইতোমধ্যে বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ প্রায় অর্ধডজন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সেসব কমিটিগুলো কাজ শুরু করেছে। আবার কোনো কোনো তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত সময়সীমা বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়