কাগজ প্রতিবেদক : খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকেই দায় নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার যদি কোনো অঘটন ঘটে, এ দেশের মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবে না, টেনেহিঁচড়ে আপনাদের ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দেবে।’ গতকাল রবিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে আয়োজিত সমাবেশে এই হুঁশিয়ারি দেন ফখরুল। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বিদেশে পাঠানোর পাশাপাশি তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশের আয়োজক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর শাখা বিএনপি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির প্রমুখ বক্তব্য দেন। সঞ্চালনায় ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম।
খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকার কোনো দায় নেবে না আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, সরকারকেই দায় নিতে হবে। আল্লাহ না করুক, খালেদা জিয়ার যদি কোনো অঘটন ঘটে, তাহলে এ দেশের মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবে না। টেনেহিঁচড়ে আপনাদের ক্ষমতা থেকে নামিয়ে নেবে।
সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এখনো সময় আছে। কিছুটা রক্ষা পেতে পারেন। এরপরে আর পালাবার সময় পাবেন না। তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দল, সংগঠন আর দেশের মানুষরা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। দুর্বার গণ আন্দোলন শুরু হলে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে। সত্যিকার অর্থেই জনগণের কল্যাণের জন্য সরকার গঠন করা হবে। খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব প্রশ্ন রাখেন, কত টাকার মামলা? ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকার মামলা। সেই মামলার সঙ্গে খালেদা জিয়ার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এই টাকা কোথাও যায়নি। কেউ তছরুপ করেনি। পুরো টাকাই ব্যাংকে রক্ষিত। এখন প্রায় আট কোটি হয়েছে।
মির্জা ফখরুলের ভাষ্য, খালেদা জিয়াকে আটক রাখার মূল কারণ তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া। এ জন্যই পরিকল্পিতভাবে, বিচার বিভাগ, দুদককে নিয়ন্ত্রণ করে খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে।