সংসদে আলোচনা : ‘ছয় দফা ছিল স্বাধীনতার সিঁড়ি’

আগের সংবাদ

ছয় লক্ষ্য অর্জনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন : ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ের বাজেট, সর্বোচ্চ ঘাটতির দিক থেকেও নতুন মাইলফলক > বাজেট ২০২২-২৩

পরের সংবাদ

মুকসুদপুর পৌরসভা নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্ব›িদ্বতার আভাস

প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাজী ওহিদ, মুকসুদপুর (গোপালগঞ্জ) থেকে : আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে মুকসুদপুর পৌরসভার নির্বাচন। উপজেলা নির্বাচন অফিস ভোটের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। নির্বাচনে মেয়র পদে বেশি প্রার্থী হওয়ায় তুমুল প্রতিদ্ব›িদ্বতা চলছে।
মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পোস্টার, ফেস্টুন, লিফলেট এবং ব্যানারে সমগ্র পৌর শহর ছেয়ে গেছে। প্রার্থী এবং প্রার্থীর সমর্থকরা প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা ভোটারদের সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের ভোট প্রার্থনা করছেন।
এবারের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীসহ মেয়র পদে ৫ জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১০ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। এর মধ্যে মেয়র পদে মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিকুর রহমান মিয়া নৌকা প্রতীক পেয়ে মাঠে কাজ করছেন। স্বতন্ত্র ৪ জন মেয়র প্রার্থীও নির্বাচনী মাঠে পুরোদমে কাজ করছেন। তারা হলেন- মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল আলম শিমুল (জগ প্রতীক), মুকসুদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. সাজ্জাদ করিম মন্টু (চামচ প্রতীক), মুকসুদপুর কাশিয়ানী বাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি আহাজ্জাদ মহাসিন খিপু মিয়া (মোবাইল প্রতীক) এবং মুকসুদপুর মনোয়ারা কমপ্লেক্স সুপার মার্কেটের স্বত্বাধিকারী সাইফুল উদ্দীন বিদ্যুৎ (নারকেল গাছ) ভোটের লড়াই করে যাচ্ছেন। প্রত্যেক প্রার্থীই বিজয়ের প্রত্যাশায় সমর্থকদের নিয়ে সকাল-সন্ধ্যা গণসংযোগ করে চলছেন।
সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে একাধিক প্রার্থী অংশ নেয়ায় নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্ব›িদ্বতা হবে। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী দ্বিধাদ্ব›দ্ব ভুলে নৌকার পক্ষে একসঙ্গে কাজ করলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিজয়ের সম্ভাবনা বেশি। বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্মভূমি হওয়ায় এই অঞ্চলের মানুষ আওয়ামী লীগ তথা নৌকা প্রতীকের প্রতি অন্ধবিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের কাছে ৮ জন দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান এবং মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে মনোনয়ন যাকেই দেয়া হোক তার পক্ষে নির্বাচনে কাজ করার অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকে দুই একজনকে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করতে দেখা গেলেও বাকিদের নির্বাচনের মাঠে তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না।
মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল আলম সিকদার আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর সমন্বয়কারী হিসেবে নির্বাচন পরিচালনা করছেন।
নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. আলা উদ্দীন আল মামুন ও সহকারী রিটার্নি অফিসার মো. হাচেন উদ্দীন। এছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জোবায়ের রহমান রাশেদ সার্বক্ষণিকভাবে ভূমিকা রেখে করে চলেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়