রাজধানীর বছিলায় জুতার কারখানায় আগুন

আগের সংবাদ

সংসদে প্রধানমন্ত্রী : দেড় বিলিয়ন ডলার সহায়তা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে

পরের সংবাদ

বিএম কন্টেইনার ডিপোতে কাজ করত ২০ রোহিঙ্গাও!

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : সীতাকুণ্ডে বেসরকারি বিএম কন্টেইনার ডিপো লিমিটেড এ কমপক্ষে ২০ রোহিঙ্গা নাগরিক কাজ করত। তাদের মধ্যে মোহাম্মদ ফারুক নামে এক রোহিঙ্গা যুবক গত শনিবার ওই ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে। নিখোঁজ ফারুকের সন্ধানে গতকাল মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেলে এসেছিলেন তার ভাই মোহাম্মদ কায়েস। তিনিই জানালেন এ তথ্য। পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকেন কায়েসরা। চট্টগ্রামের স্থানীয় একজন সাংবাদিক গতকাল চট্টগ্রাম মেডিকেলে তথ্য সংগ্রহের জন্য গেলে তিনি এই রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ কায়েসের সন্ধান পান। কায়েসই জানিয়েছেন, তার ভাই ওই কন্টেইনার ডিপোতে গত পাঁচ মাস ধরে কাজ করত। শুধু ফারুকই নয়, তার পাশাপাশি আরো ২০ জন রোহিঙ্গা (মিয়ানমারের নাগরিক) এই কন্টেইনার ডিপোতে কাজ করত বলে দাবি কায়েসের।
মোহাম্মদ কায়েস ওই সাংবাদিকে বলেন, ‘শনিবার রাতে আগুন লাগার পর ভিডিও কল করে ফারুক আমাদের আগুনের দৃশ্য দেখিয়েছিল। কিন্তু রাত ১০টার পর তার আর কোনো খোঁজ পাইনি। ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করা আরেকজনের সঙ্গে রবিবার সকালে যোগাযোগ করলে সে জানায় আহত অবস্থায় ভাইকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখেছে। কিন্তু এরপর ভাইকে কোনো ওয়ার্ডে নেয়া হয় সেটি জানতে পারিনি। কায়েস আরো বলেন, আমরা এসে হাসপাতালে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ভাইয়ের সন্ধান পাইনি। শুনেছি-ফারুক নামে একজনকে আহত অবস্থায় ঢাকায় নেয়া হয়েছে, সে আমার ভাই কিনা তা এখনো জানি না।’
এ ব্যাপারে বিএম ডিপোর মুখপাত্র মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভোরের কাগজকে বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জানা নেই। তবে এমন একটি তথ্য যেহেতু আমাদের কাছে এসেছে তা আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। ইতোমধ্যেই আমি আমাদের সব নিয়মিত কর্মচারীর তালিকাতে কেউ রোহিঙ্গা আছে কিনা তা প্রাথমিক যাচাইয়ের জন্য বলেছি। তবে কেউ হয়তো আসল পরিচয় গোপন করে পার্ট টাইম শ্রমিক হিসেবে কাজ করে থাকতে পারে। তারপরও রোহিঙ্গা কেউ যদি এই কন্টেইনার ডিপোতে কাজ করে থাকে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
কিন্তু প্রশ্ন হলো- উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বের হয়ে এসব রোহিঙ্গারা কী করে ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোর মতো একটি সুরক্ষিত ও স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানে চাকরি করত, সেই চাকরি স্থায়ী হোক বা অস্থায়ী যাই হোক না কেন। যে কেউ চাকরিতে যোগ দেয়ার আগে তার অনেক কিছুই যাচাই-বাছাই করে নেয়ার বিষয় থাকে। তাহলে মোহাম্মদ ফারুকসহ আরো যে ২০ রোহিঙ্গা যুবক ওই কন্টেইনার ডিপোতে চাকরি করত বা এখনো চাকরিতে আছে তা কতটা বৈধ? আর যদি তাদের এই চাকরি দেয়া বৈধ না হয়ে থাকে তাহলে তাদের যারা চাকরি দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা সেটিও ভেবে দেখার বিষয়।

(ক্যাপশন : চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিখোঁজ ভাইয়ের সন্ধানে আসা রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ কায়েস)

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়