ঐক্য পরিষদের বিবৃতি : ধর্ম মন্ত্রণালয়ে বাজেট বরাদ্দে ধর্মীয় বৈষম্য অবসান দাবি

আগের সংবাদ

নিছক দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা : সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি

পরের সংবাদ

আহত ৬ : জৈন্তাপুরে টিলা ধসে ৪ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সিলেট ব্যুরো : সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা জৈন্তাপুরের চিকনাগুলে টিলা ধসে মাটিচাপায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ছয়জন। গতকাল সোমবার ভোরে উপজেলার ইউনিয়নের পূর্ব সাতজনি গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। চিকনাগুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে টিলার মাটি নরম হয়ে যায়। টিলার পাদদেশে ছিল নিহত জুবের আহমদের (৩৫) কাঁচাঘর। সোমবার ভোরে তার ঘরের ওপর ধসে পড়ে টিলার একাংশ। এতে মাটিচাপা পড়ে মারা যান জুবের আহমদসহ তার স্ত্রী সুমি বেগম (৩০), পাঁচ বছর বয়সি শিশু সন্তান সফি আহমদ এবং জুবেরের বড় ভাই মাওলানা রফিক আহমদের স্ত্রী মোছা. শামীম আরা বেগম (৪৮)। এ সময় আশপাশের বাসিন্দারা হতাতদের উদ্ধার করেন। দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- আব্দুল করিম (৮০), খায়রুন নেছা (৭৫), মাওলানা রফিক আহমদ (৬০), ফাইজা বেগম (২০), লুৎফা বেগম (২০), রাফিউল ইসলাম (১০), মেহেরুন নেছা (৪০) এবং হাম্মাদ (৩)।
দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে সিলেট ফায়ার সার্ভিস উপপরিচালক মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে জালালাবাদ ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের সদস্য ও জৈন্তাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে পাঠান।
চিকনাগুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান চৌধুরী জানান, একই গ্রামে আরো ১০-১২টি পরিবার ঝুঁকি নিয়ে টিলার নিচে বসবাস করছে। গত দুই দিনে এই এলাকায় আরো দুটি স্থানে টিলা ধসের ঘটনা ঘটেছে, তবে এতে কোনো হতাহত হয়নি।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় প্রাথমিকভাবে ছয়জনকে আহত অবস্থায় এবং চারজনকে মৃত উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদের সুরতহাল প্রস্তুত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।
অন্যদিকে ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিলেট জেলা পুলিশের ক্রাইম এন্ড অপারেশন এসপি শাহরিয়ার বিন সালেহ, কানাইঘাট সার্কেল সিনিয়র এএসপি মো. আব্দুল করিম, জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল বশিরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিপামনি দেবী। এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে নিহতদের জনপ্রতি ২০ হাজার ও আহতদের জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান করেন সিলেট অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়