পদ্মা সেতুর উদ্বোধন : সারাদেশে উৎসব হাতিরঝিলে হবে লেজার শো

আগের সংবাদ

সর্বনাশা ধ্বংসযজ্ঞের দায়ভার কার : নিহত অর্ধশত, দগ্ধ-আহত আড়াইশর বেশি, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড মজুতের অনুমতি ছিল না, ২৫ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

পরের সংবাদ

সাবেক সিইসি নুরুল হুদা : বিএনপিকে ছাড়া গ্রহণযোগ্য ভোট হবে না

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, বিএনপিকে বাইরে রেখে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে না। তবে যদি পোলিং এজেন্ট, প্রিসাইডিং অফিসার ও প্রশাসন সতর্ক থাকে, তাহলে ইভিএমের এ সমস্যা এড়ানো সম্ভব। এছাড়া সব কেন্দ্রে যদি সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা যায় তাহলে হয়তো এ সমস্যা এড়ানো যাবে। তাছাড়া দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করা যে কোনো কমিশনের জন্য চ্যালেঞ্জিং।
গতকাল শনিবার এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব’- শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
কে এম নুরুল হুদা বলেন, ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) এক জায়গায় ত্রæটি আছে। এ মেশিনের ব্যালট ইউনিটকে টেকনোলজির আওতায় আনা যায়নি। এটা জটিলতার জন্য সম্ভব হয়নি। এখানেও ফিঙ্গার প্রিন্টের ব্যবস্থা থাকলে ভালো হতো। হয়তো ভবিষ্যতে এটার ব্যবস্থা হতে পারে।
তিনি বলেন, নির্বাচন একটি স্পর্শকাতর ও চ্যালেঞ্জিং বিষয়। রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সার্বিক সহযোগিতা ছাড়া শুধু নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। বন্দুক ও লাঠি ব্যবহার করে নির্বাচন করা যায় না। বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর কোথাও নির্বাচনে বন্দুক ও লাঠির ব্যবহার হয় না। নির্বাচনকালে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি করা ঠিক নয়। নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতায় সম্পদ নষ্ট ও মানুষ খুন কাম্য নয়।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে অবশ্যই প্রতিযোগিতামূলক হতে হবে। রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। তাই বিএনপিকে বাদ দিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা হলে সে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনকালে আমার ওপর কোনো অদৃশ্য শক্তির চাপ ছিল না। তবে বেশ কিছু কেন্দ্রে শতভাগ ভোট প্রদান ছিল অস্বস্তিকর। বিএনপির প্রতিও আমার অনুরোধ থাকবে, নির্বাচন বয়কট করে সমস্যার সমাধান হবে না। আপনারা ঠিক করুন কীভাবে নির্বাচনে যাবেন। আপনাদের নির্বাচনে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, আমি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থাশীল। তারা যেভাবে শুরু করেছে, সব রাজনৈতিক দল ও মানুষের উচিত তাদের সহযোগিতা করা। যদি তাদের সহযোগিতা করা হয়, তাহলে তারা একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে পারবে।
এক প্রশ্নের জবাবে নুরুল হুদা বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন পরিচালনা করা ইসির (নির্বাচন কমিশন) জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জ। তবে সেটি কমিশন চাইলে অতিক্রম করা সম্ভব। পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনের সময় এক অস্বস্তি নিয়ে ছিলেন বলেও জানান সাবেক এই সিইসি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়