জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : ১০ বছরেও ক্লাসরুম আইন অনুষদ

আগের সংবাদ

প্রতিযোগিতার বাজারে ডলার : দাম নিয়ন্ত্রণ থেকে পিছু হটল কেন্দ্রীয় ব্যাংক > টাকার মান কমল ৯০ পয়সা

পরের সংবাদ

খাদ্যমন্ত্রী : দলের লেবাস পরে মজুত করলেও ছাড় নয়

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কেউ দলের লেবাস পরে চালের মজুত করলে তাকেও ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, মজুতদার এবং সন্ত্রাসী কোনো দলের নয়। দলের লেবাস নিয়ে মজুত করলে তারাও ছাড় পাবেন না। এটা আমি পরিষ্কার করে বলে দিচ্ছি। আমি অন্ততপক্ষে মামলা করব। লেবাস-অলেবাস, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত নিয়ে কথা না, মজুতদার মজুতদারই। সে কোন দলের, সেটা দেখার দরকার নেই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা গত ১২ ঘণ্টার মধ্যে অনেক কাজ করেছি। আরো করার সুযোগ দিন। কোনো তথ্য পেলে মন্ত্রণালয়কে জানানোর জন্য এ সময় অনুরোধ করেন মন্ত্রী। দেশের বাজার থেকে চাল কিনে প্যাকেটজাত করে তা আবার বিক্রি করা যাবে না বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, এজন্য একটি আইন করা হচ্ছে। এ সময় দেশের বাজারে চালের আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য দেশের খ্যাতনামা কয়েকটি শিল্পগ্রুপকে দায়ী করেন মন্ত্রী।
সাধন চন্দ্র বলেন, বিভিন্ন জেলায় আমরা অভিযান চালাচ্ছি। ৬টি প্রতিষ্ঠান ব্যাগিং করে একই চাল যেটা ৬০ টাকা ৬৫ টাকা পড়ছে, সেটা প্যাকেটজাত করে ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি করছে। একই সঙ্গে আগাম টাকা মিলারদের দিয়ে আসছে, এমনকি তাদের প্যাকেটও দিয়ে আসছে নওগাঁ, দিনাজপুর, বগুড়া ইত্যাদি স্থানে। আমরা সেগুলোও বন্ধ করেছি। যেমন- মহাদেবপুরে আকিজগ্রুপ দুটো মিল ভাড়া নিয়েছে। ভাড়া যদি তারা নিয়ে থাকে তাহলে ভাড়ার যে মিলটি আছে সে মিলের ব্র্যান্ডেই কিন্তু চাল বস্তায় ভরতে হবে। সেখানে গিয়ে আকিজ গ্রুপের বস্তা পাওয়া গেছে, এটা আমরা জব্দ করেছি। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা চিন্তা করছি যে একটি সার্কুলার জারি করা যায় কিনা। যারা প্যাকেট করে চাল বিক্রি করবে তারা দেশের বাজার থেকে কিনতে পারবে না। তারা ৬৭ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে আমদানি করে প্যাকেট করবে। এটা আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, তাদের যদি নিজস্ব মিল থাকে, তারা সেখানে প্যাকেট করতে পারবে। কিন্তু বাজার থেকে চাল সংগ্রহ করে প্যাকেট করতে দেব না। মিল মালিকরা নিজস্ব প্রোডাকশন বিক্রি করতে পারবে। নিজস্ব মিল থাকলেও সে তার লাইসেন্সে যে মজুতের বিধান আছে তার বাইরে মজুত করতে পারবে না। মিলের যে পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতা তার তিনগুণ সে মজুত করতে পারবে। এটা হলো রোলিং। এর বাইরে থাকলে সেটা অবৈধ মজুত।
এই নির্দেশের পরের দিন গতকাল বিকাল থেকেই চালের বাজারগুলোতে অভিযান শুরু করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খুলনার অনেক ব্যবসায়ী। কারণ ব্যবসায়ী হিসেবে সবার মজুতেই কিছু না কিছু চাল রয়েছে। কিন্তু কতটুকু চাল মজুত রাখলে তা আইনভঙ্গ হবে সে বিষয়ে ধারণা নেই অনেকেরই।
এ বিষয়ে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য মাসুম বিল্লাহ জানিয়েছেন, ধান বা চাল কোনো ব্যবসায়ী কত দিন, কী পরিমাণ মজুত রাখতে পারবেন দেশের আইন ও সরকারি গেজেটে তা স্পষ্ট করে বলা আছে। তিনি বলেন, ‘কন্ট্রোল অব এসেনশিয়াল কমোডিটিস অ্যাক্ট-১৯৫৬ অনুসারে, ২০১১ সালের ৫ মে খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় একটি গেজেট জারি করেছে। সেখানে খাদ্যশস্য মজুতের ব্যাপারে সব স্পষ্ট করে বলা আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়