কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, অন্যের কথায় কান দেবেন না। গুজবে প্রভাবিত হয়ে প্রতারিত হবেন না। আগামী সপ্তাহ থেকে দেশের পুঁজিবাজার অনেক ভালো হবে। সমস্যা অনেকাংশ কেটে যাবে। দেশের পুঁজিবাজার অনেক বড় করতে হবে। এজন্য বর্তমান কমিশন কাজ করে যাচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) পুঁজিবাজার উন্নয়নে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) আয়োজিত বিএসইসি, বিএপিএলসি এবং সিএমএসএফের ‘অংশীদারিত্বের মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক ত্রিপক্ষীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও সিএমএসএফের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি এম আনিস উদ দৌলা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
বিএসইসির সাবেক কমিশনার এবং শান্তা এসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ভাইস- চেয়ারম্যান আরিফ খানের পরিচালনায় ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান, সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী সানাউল হক, বিএপিএলসির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়াদ মাহমুদ প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) গঠন করা হয়েছে সবার কল্যাণে। দেশের অনেক বড় প্রতিষ্ঠান আমানত রক্ষা করতে পারছে না। তারা শেয়ার
হোল্ডারদের পাওনা সময়মতো বণ্টন করছে না। তারা সঠিকভাবে তথ্য উপস্থাপন করছে না। তারা অনেকেই অন্যের সম্পদ রক্ষা করতে পারছে না। ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) অর্থ কমবে না। বরং বিনিয়োগের মাধ্যমে বাড়তে থাকবে।
সংলাপের শুরুতে প্যানেল আলোচনায় বক্তারা বলেন, বিভিন্ন সংকটের সময় আইসিবি পুঁজিবাজারে অর্থের জোগান দিয়ে থাকে। তবে সিএমএসএফ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সংকটের সময় অর্থের জোগান দেয়ার জন্য আরো একটি প্রতিষ্ঠানকে পাশে পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-এর কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আরো অনেক নতুন প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত করতে হবে। বড় প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত করতে পারলে একটি স্থিতিশীল পুঁজিবাজার গঠন সম্ভব হবে।
আসিফ ইব্রাহিম বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আরো বেশি আকৃষ্ট করতে পণ্যের ডাইভারসিফিকেশন করতে হবে। একই সঙ্গে বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে- যারা এখনো পুঁজিবাজারে আসেনি তাদের তালিকাভুক্ত করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি এম আনিস উদ দৌলা বলেন, এক সঙ্গে কাজ করতে পারলে স্থিতিশীল পুঁজিবাজার তৈরি সম্ভব।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।