প্রশ্নফাঁস : মাউশির অফিস সহকারী নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল

আগের সংবাদ

জীবনযাত্রায় চাপ আরো বাড়বে : গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব : শিল্প ও কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে > সব পণ্যেরই দাম বাড়বে

পরের সংবাদ

জানালেন সিইসি : দলগুলোকে নিয়ে সংলাপে বসবে ইসি

প্রকাশিত: মে ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শিগগিরই সংলাপে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গতকাল শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন। সাভার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিস, ঢাকা ও সাভার উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম ২০২২’ উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার, সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, সাভার পৌরসভার মেয়র আবদুল গণি, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনির হোসেন, সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে সিইসি বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম-২০২২ এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ সময় একজনের ভোটার তথ্য হালনাগাদের তথ্য পূরণ করেন তিনি। এরপর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন একটি বাড়িতে গিয়ে প্রথম হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করেন।
বিএনপির কাছে আস্থা অর্জনের জন্য ইসি কোনো পদক্ষেপ নেবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা কমিশন সিদ্ধান্ত নেব, কীভাবে রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান করব, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করব। অচিরেই বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আমাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানাব। কবে নাগাদ এটি হতে পারে- এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, এটা ঠিক করে বলা যাচ্ছে না। তবে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোকে দুই এক মাসের মধ্যে সংলাপে ডাকা হতে পারে।
এর আগে ভোটার তালিকা হালনাগাদ নিয়ে একটি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি বলেন, আমি আমার সহকর্মীদের বলেছিলাম, আমাকে যদি নিউজিল্যান্ড বা বিলেতে কোথাও নির্বাচন কমিশনার করে দেয়া হতো, তাহলে আমি চেয়ারে বসে চা খেতে খেতে নির্বাচনটা শেষ করে দিতে পারতাম। আমার কোনো স্ট্রেস হতো না। আমার প্রেশার বাড়ত না।
সিইসি বলেন, নির্বাচনে আমাদের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে যায় ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে। এখানে আমাদের মধ্যে সাংস্কৃতিক উন্নয়ন লাগবে। ভোটের মধ্যে সহিংসতা আমাদের নির্বাচনের সংকট নয়, এটা আমাদের সাংস্কৃতিক সংকট। এই জিনিসটা আমাদের বেদনাহত করে। এই চর্চা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। জনগণ যদি সচেতন হয়, ভোটাররা যদি সচেতন হয়, প্রতিবাদমুখর হয় তাহলে ভোটাধিকার প্রয়োগ অনেকটাই সহায়ক হবে।
ভোটার তালিকা নিয়ে সিইসি বলেন, সংসদ কথা বলার স্থান। সেখানে কারা যাবেন- সেটা এই ভোটেই নির্দিষ্ট হয়। তাই ভোটার তালিকা নির্ভুল হওয়া প্রয়োজন। প্রযুক্তির কারণে এখন নির্ভুল তালিকা করা সহজ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, নতুন কমিশনের আশা-প্রত্যাশা একটা ভালো নির্বাচন উপহার দেয়া, সেই চেষ্টায় আন্তরিকতার কোনো ত্রæটি নেই। দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ভোটারদের এগিয়ে আসতে হবে, সাধারণ মানুষসহ প্রশাসনের সহায়তা ছাড়া তালিকা হালনাগাদ সম্ভব নয়।
‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, রক্ষা করিব ভোটাধিকার’ উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ভোটাধিকার প্রয়োগ করা যেমন আমাদের নাগরিক দায়িত্ব তেমনই যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনপ্রতিনিধি হন তাদেরও জনগণকে দেয়া নির্বাচনী অঙ্গীকারের কথা মনে রাখতে হবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই আমরা নতুন কমিশন হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের আন্তরিক প্রত্যাশা একটি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। আমরা চাই, গণতন্ত্র বিকশিত হোক এবং ভোটের মাধ্যমে একটি দায়িত্বশীল পার্লামেন্ট গঠিত হোক। পার্লামেন্টে তর্ক-বিতর্কের মাধ্যমে জনগণের অধিকারও সংরক্ষিত হোক এবং আমরা যেন উন্নত রাষ্ট্র এবং উন্নত গণতন্ত্রের দিকে ধাবিত হই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়