রঙিন খামের ভাঁজে উদ্ভাসিত ভালোবাসার সেইসব অপহৃত কলতান-
ডাকহরকরার খাকি পোশাকের সাথে চনমনে জেগে ওঠা ঘুঘুডাকা ঝিমানো দুপুর-
কিংবা তার সাইকেলের বেলধ্বনির সাথে ‘চিঠি…. চিঠি…চিঠি’ শব্দের শিহরণ-
তোমারই মত করে অন্তর্ধানে চলে গেছে সেই কবে!
তবু তো আজ কত যুগ পরে ঘরের সীমাবদ্ধতা ঝেড়ে অপ্রয়োজনীয় সবকিছু
ফেলে দিতে গিয়েও ফেলতে পারি না কত কিছু!
তোমার নামের মত অবুঝ নস্টালজিক সবকিছু! হৃদপিণ্ডের ত্রিতালে ঝরে ঝরে পড়ে রক্তক্ষরণ!
পুরনা কাগজপত্র,
পত্রিকা,
অকেজো বই,
কিংবা আজতক পড়ে থাকা তোমার রঙিন খাম, খামের ভেতরে পড়ে থাকা বিবর্ণ চিঠি-
এবং সেইসব চিঠির ভাঁজে গন্ধহীন স্মৃতির মত শুকনো গোলাপ-
বিবর্ণ রসহীন, শুকনো, নির্জীব!
তবুও আজও কেন এত প্রাণময়, এত সরব, এত জল-ছলাৎছল!
শরীরের কোথায় যেন আজও টান পড়ে যায় এসব ফেলতে গেলে!
হাহাকারে ধ্বনিত হয় অন্তর্ধানের ক্রন্দন!
বয়স্ক মাংসপেশীর বাতব?্যথার মত এক নাছোড় যন্ত্রণা রোগের এই হাহাকার!
সেই রোগের ঠিকানা খুঁজতেই
কোন এক বিবর্ণপত্রে দুলে ওঠে চৈত্রদিনের বৃক্ষের ছায়া।
জানি, সবই বিসর্জন হবে একদিন!
আজ না হলেও সব শেষ হবে শবযাত্রায়!
তবু আজও কেন এই পড়ন্ত-বেলায়
সেইসব টুকিটাকি
জড়িয়ে রেখেছে যৌবনের ঘামে ভেজা এক সুখঘ্রাণ!
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।