তেঁতুলতলা মাঠ ফিরে পেয়ে উচ্ছ¡াস এলাকাবাসীর

আগের সংবাদ

বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির রেকর্ড, প্রভাব পড়বে বাংলাদেশেও

পরের সংবাদ

করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বেইজিংয়ে ফের স্কুল বন্ধ

প্রকাশিত: মে ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কয়েক ডজন ভবন লকডাউন করে রাখার পাশাপাশি মে দিবসের ছুটি শুরুর আগেই স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে বেইজিং।
চীনের রাজধানীতে গত ২২ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত দুইশর বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে বেইজিংয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। রোগীর সংখ্যা বিশ্বের বেশির ভাগ অঞ্চলের তুলনায় নগণ্য হলেও চীনের কর্মকর্তাদের জন্য তা উদ্বেগের। দেশটিতে গত ২ বছর ধরে করোনা ভাইরাস মোটামুটি নিয়ন্ত্রণেই ছিল। চীনের কেন্দ্রীয় সরকার এখনো ভাইরাসকে সঙ্গী করে না বেঁচে স্থানীয় সংক্রমণ নিশ্চিহ্ন করার নীতিতেই আস্থা রাখছে।
মে দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার থেকে ৫ দিনের পূর্বনির্ধারিত ছুটি শুরুর আগের দিন শুক্রবার বেইজিংয়ের স্কুলগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। ছুটি শেষ হওয়ার পর আগামী বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) থেকে স্কুল খুলবে কিনা সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বেইজিংয়ের ২ কোটি ২০ লাখ বাসিন্দার অধিকাংশকেই গত সপ্তাহ থেকে কয়েক দফার গণশনাক্তকরণ পরীক্ষার ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত বেইজিংকে সাংহাইয়ের মতো শহরজুড়ে লকডাউনের মতো পদক্ষেপ নিতে হয়নি। এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কেন্দ্র সাংহাইকে করোনা ভাইরাসের তুলনামূলক বড় এক প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। শহরটির অনেক বাসিন্দাকে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গৃহবন্দি থাকতে হচ্ছে। শহরটিতে এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে আর তাদের মধ্যে ৩৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবারও শহরটিতে ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার পর্যন্ত রাজধানী শহরের বিভিন্ন অংশে অন্তত ৬০টি ভবন ও এর পাশাপাশি কিছু রাস্তা ও এলাকা লকডাউনের আওতায় পড়েছে; এর বাইরেও অনেক এলাকায় নানান বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদপত্র বেইজিং ডেইলি। তবে এসব বিধিনিষেধ কত লোকের ওপর প্রভাব ফেলবে, তা পরিষ্কার হয়নি।

প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের এসব পদক্ষেপ চলতি সপ্তাহের ছুটির আনন্দে ছায়া ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেসব জায়গা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে তার মধ্যে বড় বিলাসবহুল ডিপার্টমেন্টাল স্টোর বেইজিং এসকেপি-ও আছে। কর্মকর্তারা লোকজনকে বেইজিং ছাড়তে ও ‘অপ্রয়োজনীয়’ জমায়েতে অনুৎসাহিতও করছেন।
গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখন মহাসড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল ৪০ শতাংশ কম হবে বলে অনুমান করছে বেইজিংয়ের ট্রাফিক কমিশন। রেল ও আকাশপথে এবং এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে যাতায়াতও কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি সত্ত্বেও চীনা কর্মকর্তারা লকডাউন ও গণশনাক্তকরণ পরীক্ষাকেই করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণের একমাত্র পথ হিসেবে দেখছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়