মঙ্গলবার বিক্ষোভ : মকবুলের মামলা প্রত্যাহার দাবি বিএনপির

আগের সংবাদ

জেলা পরিষদে দলের নেতারাই : আওয়ামী লীগের জেলা কমিটি থেকে পাঠানো নামের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে > শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি

পরের সংবাদ

ফরাসি নির্বাচন : ফের পাঁচ বছরের জন্য রায় পেলেন ম্যাক্রোঁ

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল নির্ধারণে রান-অফ ভোটাভুটি হয়ে গেল গতকাল রবিবার। এতে একমাত্র প্রতিদ্ব›দ্বী মেরিন লা পেনকে হারিয়ে ফের পাঁচ বছরের জন্য দেশ শাসনের দায়িত্ব নিশ্চিত করলেন ৪৪ বছর বয়সি মধ্যপন্থি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ। রান-অফে ম্যাক্রোঁ পান ৫৮.২ শতাংশ এবং লা পেন পান ৪১.৮ শতাংশ ভোট। ফলে ২০০২ সালে জ্যাক শিরাকের পর তিনিই হলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি পরপর দুইবার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হলেন।
প্রসঙ্গত, সেবার শিরাককে লড়তে হয়েছিল মেরিন লা পেনের পিতা জঁ মেরির বিরুদ্ধে এবং নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় পান তিনি। এদিকে বিজয়ের পর আইফেল টাওয়ারের পাদদেশে ভোটার ও সমর্থকদের অভিনন্দন জানিয়ে ম্যাক্রোঁ বলেন, স্থিতির পক্ষে অস্থিতির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন ফরাসি জনগণ।
ম্যাক্রোঁর আগে ফ্রান্সের ইতিহাসে এর আগে পরপর দুবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার ঘটনা রয়েছে মাত্র তিনজনের। প্রথমজন ফ্রাঙ্কোয়েজ মিঁতেরা, দ্বিতীয় চার্লস দ্য গল এবং তৃতীয় জ্যাক শিরাক।
পোলিং বুথে ভোটার হাজিরা নিয়ে প্রথম থেকেই টেনশন ছিল দুই প্রার্থীর মধ্যে। কেননা, সাধারণ পর্যবেক্ষণে মনে হচ্ছিল পোলিং বুথে হাজিরা থেকে বিরত থাকবেন সাধারণ ভোটাররা। কেননা, গদিনশিন ইইউবান্ধব ম্যাক্রোঁ আর ইইউবৈরী চরম-ডানপন্থি ন্যাশনাল র‌্যালি দলের প্রধান ৫৩ বছর বয়সি লা পেন, এ দুজনের কাউকেই খুব একটা পছন্দ করে না তারা। ম্যাক্রোঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, প্রথম রাউন্ডের ভোটাভুটির আগে এলিসি প্রাসাদ থেকেই তিনি বের হননি। ওই সময়ে নিজেকে তিনি ব্যস্ত রাখেন রুশ-কূটনীতি নিয়ে দৌড়াদৌড়ির মধ্যে, যা থেকে শেষ পর্যন্ত শূণ্য হাতেই ফিরতে হয় তাকে। অভিবাসী, বেকারত্ব আর মূল্যস্ফীতির নিষ্পেষণে ফরাসি জনগণের দুর্দশা দেখার সুযোগ পাননি তিনি। কিন্তু প্রথম রাউন্ডের ফলাফল হাতে আসার পর বিগত ১৫ দিনে গোটা ফ্রান্স বকেপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত চষে বেড়িয়েছেন ম্যাক্রোঁ। তার ফলও হাতেনাতে পান তিনি। জনমত জরিপে পেনকে পেছনে ফেলে বেশ উপরে উঠে আসেন তিনি।
গতকাল রবিবার সকাল ৭টায় দ্বিতীয় ও শেষ পর্বের ভোটদান পর্ব শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চালু থাকে। বড় শহরগুলোতে ভোটগ্রহণ শেষ হয় রাত ৮টায়। দুপুর পর্যন্ত ভোটার হাজিরা ছিল ২৬.৪১ শতাংশ। বিশ্বের অন্য অনেক দেশেও একই প্রক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেন ফরাসি নাগরিকরা। বিশেষত যেসব দেশে ফরাসিদের জনবসতি রয়েছে সেখানেই ভোটাভুটির জন্য পোলিং স্টেশন স্থাপন করা হয়, যেমন, ব্রিটেনজুড়ে ১৬টি পোলিং স্টেশন স্থাপিত হয়। তবে চূড়ান্ত ফল আনুষ্ঠানিকভাবে আজ সোমবার প্রকাশ করা হবে।
দুই সপ্তাহ আগে প্রথম দফা নির্বাচনের ১২ জনের মধ্য থেকে প্রেসিডেন্ট বাছাইয়ে ভোট দেয় ফরাসি জনগণ। এতে শীর্ষ দুই প্রার্থী হিসেবে উঠে আসেন এ দুজন- যারা উভয়ই এককভাবে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতে ব্যর্থ হন। এরপর দ্বিতীয় দফা ভোটাভুটির জন্য বিগত ১৫ দিন ধরে ঝড়ো প্রচারাভিযান চালিয়ে গেছেন এ দুজন। পররাষ্ট্রনীতি, অভিবাসন এবং সামাজিক বন্ধনের প্রশ্নে বিপরীত মেরুতে অবস্থান দুই প্রতিদ্ব›দ্বীর। একবারই মাত্র, দেড় কোটি দর্শকের সামনে টেলিভিশন বিতর্কে পরস্পর মুখোমুখি হন দুজন। ২০১৭ সালের নির্বাচনেও লা পেনকে দ্বিগুণ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েই প্রেসিডেন্ট পদে অভিষিক্ত হন ম্যাক্রোঁ। সেবার তার পাওয়া ৬৬ দশমিক ১০ শতাংশ ভোটের বিপরীতে লা পেন পান ৩৩ দশমিক ৯০ শতাংশ ভোট। ম্যাক্রোঁ সেবার বলেছিলেন, তিনি বাম এবং ডান উভয়ের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে দেশ পরিচালনা করবেন। বাস্তবে ক্ষমতা হাতে পাওয়ার পর বিগত পাঁচ বছর তিনি মধ্যপন্থি বরাবর প্রবলভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সমর্থন দিয়ে গেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়