সেমিনারে সেলিনা হোসেন : বাংলা ভাষার ঐতিহ্য রক্ষার্থে শুদ্ধ চর্চা করতে হবে

আগের সংবাদ

আউয়ালের নেতৃত্বে নতুন ইসি : চার নির্বাচন কমিশনার- রাশিদা সুলতানা, আহসান হাবীব খান, মোহম্মদ আলমগীর ও আনিছুর রহমান > শপথ আজ

পরের সংবাদ

‘মহানন্দা’য় ঝলক দেখালেন গার্গী

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

‘মহানন্দা’ রূপে মহাশ্বেতা দেবীকে ধারণ করেছেন গার্গী রায়চৌধুরী। মাতৃভাষা দিবসে মুক্তি পেয়েছে ছবির দ্বিতীয় ঝলক। নামে তিনি দেবী সরস্বতী। বাস্তবেও। বাংলা ভাষায় ভীষণ দখল। সারাক্ষণ লিখছেন, পড়ছেন। শেখাচ্ছেনও। প্রথম বই প্রকাশের পরে বুক ভরে তার গন্ধ নিচ্ছেন। হাত থেকে খবরের কাগজ টেনে নিলে দুই চোখে টলোমলো জল! কঠিন সময়েও আশ্রয় খুঁজেছেন সাহিত্যে। ইনিই মহাশ্বেতা দেবী। বাংলা ভাষা যার লেখনির কাছে ঋণী। ‘রুদালি’, ‘হাজার চুরাশির মা’, ‘মার্ডারারের মা’ সহ অংসখ্য গল্প-উপন্যাস তার কলম থেকেই জন্ম নিয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে তিনি ফিরলেন নব কলেবরে। ‘মহানন্দা’ হয়ে। তাকে নতুনভাবে চিনিয়েছেন পরিচালক অরিন্দম শীল। ‘মহানন্দা’ রূপে মহাশ্বেতা দেবীকে ধারণ করেছেন গার্গী রায়চৌধুরী।
গার্গীও পড়তে ভালবাসেন। লেখালিখি করেন। সেই বৈশিষ্ট্য কি ‘মহানন্দা’ হয়ে উঠতে বেশি সাহায্য করেছে? ‘পুরোটা না হলেও কিছুটা তো বটেই’, বলেন অভিনেত্রী। তার কথায়, ‘অবসরে ঠোঙা পেলেও পড়ি। মহাশ্বেতা দেবীর লেখাও পড়েছি। সেটা পড়ে তার সম্বন্ধে সম্যক ধারণা তৈরি হয়েছিল। তবে বেশি সাহায্য করেছে ওর সাক্ষাৎকার। কারণ, প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে একটি মানুষের হালকা অবয়ব বেরিয়ে আসে। আমি তাই সাক্ষাৎকার পড়তে ভালোবাসী।’ বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারের মাধ্যমেই তাই অভিনেত্রী চেনার চেষ্টা করেছেন তার অভিনীত চরিত্রকে। এতে নাকি বেশি সুবিধা হয়েছে তার।
যেকোনো মাতৃভাষা সেই ভাষার কাছে মায়ের সমান। মহাশ্বেতা দেবীর মধ্যে সেই মাতৃত্ব কতটা প্রবল? শোনা যায়, একমাত্র ছেলে নবারুণ ভট্টাচার্যের জীবনে তার উপস্থিতি নাকি ভীষণই কম? গার্গীর সাফ জবাব, ‘কেন সাহিত্যিক ছেলেকে ছেড়ে এসেছিলেন? না তাকে বাধ্য করা হয়েছিল? এ সব কেউ সঠিক ভাবে জানেন না। নতুন করে এই ক্ষতকে খুঁচিয়েও লাভ নেই। তবে ওর মধ্যে মাতৃসত্তা প্রবল ছিল। সেটা চরিত্রাভিনেতা হতে হতে উপলব্ধি করেছি।’ অভিনেত্রীর যুক্তি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশ্বেতা দেবীর অন্তরজুড়ে। কবি কোনো দিন তেমনভাবে কাউকে আদর্শ বানাতে পারেননি। লেখিকাও তাই। তার পরও তিনি ‘রুদালি’র মতো বিষয় ভাবতে পেরেছেন মাতৃসত্তার জোরেই। রাজস্থানের প্রত্যন্ত ভাড়া খাটা কাঁদানিয়াদের জীবন্ত করেছেন অন্তরে জমে থাকা মমতা দিয়ে। ভাষাতেও তার ছাপ। প্রত্যেকটি লেখায় সহজ, সরল, বলিষ্ঠ বাংলা ভাষার প্রয়োগ। যা বুঝতে এই প্রজন্মেরও অসুবিধে হয় না।
আজকের বাংলায় হিন্দি, ইংরেজির দাপট। একটি কথায় ৫টি শব্দ থাকলে তার তিনটিই হয়তো হিন্দি-ইংরেজি। এমন পাঁচমিশালি ভাষা শুনলে মহাশ্বেতা দেবী কী বলতেন? হেসে ফেলেছেন গার্গী। বলেছেন, প্রথমে হাঁ হাঁ করে হেসে উঠতেন। তারপরই বলতেন, ‘আমিও একটু শেখার চেষ্টা করি!’ বাহ্যিকভাবে যতই কঠিন মনে হোক, অন্তরে কিন্তু ভীষণ বর্ণময়। সব কিছুর প্রতি তাই অদম্য কৌতূহল। বাংলার গর্বকে ঘিরে এটাই পর্দার ‘মহানন্দা’র উপলব্ধি। :: মেলা ডেস্ক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়