আশুলিয়ায় ফার্নিচার গুদামে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩

আগের সংবাদ

বাতাসে আগুনের হলকা!

পরের সংবাদ

‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ : না আছে লজিক না আছে ম্যাজিক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ২০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঈদের সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে অক্ষয় কুমার এবং টাইগার শ্রফ অভিনীত সিনেমা ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’। কোথায় কমতি থেকে গেল, তা জেনে নেয়া যাক। ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’, ‘ভারত’, ‘সুলতান’-এর মতো সফল সিনেমার পরিচালক আলি আব্বাস জাফর আর একবার ঈদে নিয়ে এলেন নতুন সিনেমা। এবার সঙ্গে অক্ষয় কুমার, টাইগার শ্রফ এবং দক্ষিণের সুপারস্টার পৃথ্বীরাজ সুকুমারন। অ্যাকশন, কমেডি, দেশভক্তির সবই আছে; কিন্তু কিছুতেই যুক্তি নেই। কারণ গল্প এবং চিত্রনাট্য খুব কমজোরি। যার কারণে সিনেমা দর্শকমনে কোনো দাগই কাটতে পারে না। দর্শক সিনেমা দেখে না- কোনো ‘লজিক’ খুঁজে পাবেন, না পাবেন কোনো ‘ম্যাজিক’-এর সন্ধান। ইদানীং নির্ভেজাল বলিউডি হিন্দি সিনেমাতে এক নতুন মোচড় খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন নির্মাতারা। তা হলো দেশভক্তি। অ্যাকশনধর্মী সিনেমা হলেই দেশভক্তির সঙ্গে মিশে যাবে ঘন ঘন মারামারির দৃশ্য। মানে, উগ্র জাতীয়তাবাদের উচ্চারণই হলো দেশভক্তির সঙ্গে অ্যাকশনের এক ঘোরতর মিশ্রণ। অর্থাৎ পুলওয়ামা বা কার্গিলই এই মুহূর্তে দেশভক্তির একমাত্র স্পষ্ট উচ্চারণ, গান্ধীর সত্যাগ্রহ তেমন জোরদার দেশভক্তির প্রমাণ নয়। এর মানে এমন অবশ্যই নয় যে, পুলওয়ামা বা কার্গিলের ঘটনাপ্রবাহকে দেশভক্তির নিরিখে কোনোভাবে খাটো করা হয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য যুদ্ধে জেতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, কিন্তু একেক যুদ্ধ জেতার নিয়ম একেক রকম। গান্ধীর আন্দোলনে সত্যাগ্রহ প্রয়োজনীয় ছিল, কার্গিলে কামান। তার মানে আবার এই নয় যে, সব অবস্থাতেই কামান দাগতে হবে। বলিউড যেটা করছে, সেটা সবচেয়ে সহজ। অবশ্য ‘পপুলিস্ট’ সিনেমা তো স্বভাবতই সবচেয়ে সহজ পথটাই সবসময় বেছে নেয়! সেখানে বলিউড আর হলিউডের মধ্যে আসলেই কোনো তফাত নেই। এই সিনেমায়ও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। শুরু তাই শক্তিশালী খলনায়ক কবিরকে (পৃথ্বীরাজ সুকুমারণ) দিয়ে। মুখোশধারী কবির, একের পর এক ভারতীয় সৈনিক মেরে ভারতের সুরক্ষা কবচ হাতিয়ে নেয় এবং দেশকে মাত্র তিন দিন সময় দেয় যাতে দুর্যোগ থেকে আগামী দিনে বাঁচতে পারে। আর এই সময়ে সিনেমার দুই নায়ক ফ্রেডি (অক্ষয় কুমার) এবং রকি (টাইগার শ্রফ) ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশ বাঁচাতে। এই প্রসঙ্গে থাকতে থাকতেই এটা বলে নেয়া জরুরি যে, ফ্রেডি এবং রকি দুজনেই ‘কোর্ট মার্শাল’ হওয়া সেনাবাহিনীর অফিসার। এই দুই অফিসার কতটা সাহসী, তা দেখানোর জন্য গল্পকে ফ্ল্যাশব্যাকে ফেরত যেতে হয়। ফ্ল্যাশব্যাকে এটাও জানা যায়, কবির কেন দেশদ্রোহী হয়ে দেশকে শেষ করতে চায়। এই সিনেমার অ্যাকশনকে হলিউডের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে আর তার ঝলক আমরা কিছু দৃশ্যে দেখতেও পাই। কিন্তু ১৬৪ মিনিটের সিনেমাতে ৯০ শতাংশ যুক্তিহীন মারধরের দৃশ্য একঘেয়ে লাগে স্বভাবতই। মারধরের দৃশ্যে অক্ষয় কুমার, যিনি নাকি ‘খিলাড়ি’ নামে বেশি পরিচিত, সপ্রতিভ। তবে টাইগার থেকে বেশি অ্যাকশন করেছেন ‘ওয়ার’ ছবিতে। টাইগারকে আমরা অ্যাকশনহীন কোনো সিনেমাতে কখনো দেখতে পাব কি? যদিও তা স্বয়ং টাইগারও জানে কি না সন্দেহ। তিনি কর্মজীবনে কোনোদিন সে সাহস করে উঠতে পারবেন বলে মনেও হয় না। কারণ তার অভিনয় প্রতিভা যে খানিক সীমাবদ্ধ, তা তিনি ভালোই জানেন।

:: মেলা ডেস্ক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়