সিকিউরিটি গার্ডের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা : স্বামী-স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার ৭

আগের সংবাদ

সিন্ডিকেটে জিম্মি মধ্যপ্রাচ্যগামীরা > বিমান ভাড়া নেয়া হচ্ছে তিন গুণ, অনুরোধ রাখছে না এয়ারলাইন্স : বিমান প্রতিমন্ত্রী

পরের সংবাদ

গজারিয়া-মুন্সীগঞ্জ সড়ক : উদ্বোধনের আগেই ধসে পড়ল গাইডওয়াল

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : গজারিয়ায় বহুল প্রত্যাশিত কয়েক লাখ মানুষের যোগাযোগের প্রধান গজারিয়া-মুন্সীগঞ্জ সড়ক রক্ষার গাইডওয়াল উদ্বোধনের আগেই ধসে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। গত সোমবার বৃষ্টির পানির তোড়ে মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া মহাসড়কের গোসাইচরের অংশের প্রায় ১৫০ মিটার সড়কের গাইডওয়াল ধসে পড়ে। উদ্বোধনের আগেই প্রায় শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন সড়কের গাইডওয়াল ধসে পড়ার কারণে সড়কের স্থায়িত্বও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে বলে নির্মাণকাজে অবহেলা ও ত্রæটিযুক্ত কাজকে দোষারোপ করছেন এলাকাবাসী।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, গোসাইচরের অংশের প্রায় ১৫০ মিটার গাইডওয়ালের একাংশ ধসে পড়েছে। এমনকি রাস্তা ও গাইডওয়ালের মাঝে দীর্ঘ ফাটল দেখা দিয়েছে। জানা যায়, পূর্ব থেকে দক্ষিণে সড়কপথে যাতায়াতের জন্য গজারিয়া-মুন্সীগঞ্জ সড়কটি ব্যবহার করে মাওয়া হয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে দ্রুত সময়ে যানবাহন গন্তব্যে যেতে-আসতে পারবে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির নির্মাণকাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই।
স্থানীয় লোকজন জানান, সামান্য বৃষ্টিপাতে যদি গাইডওয়ালের এই অবস্থা হয় তাহলে বৃষ্টির দিন এলে সম্পূর্ণ গাইডওয়াল ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে শতভাগ। গত বছর বর্ষার শুরুতে গাইডওয়ালের কাজ শেষ কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই গাইডওয়ালের এই অবস্থা। এতে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে সর্বত্র।
স্থানীয়রা আরো জানান, শুধু গোসাইচর নয়, ১২ কিলোমিটার এই সড়কের আরো অনেক স্থানেই ফাটল দেখা দিয়েছে। ভবিষ্যতে সড়ক রক্ষায় নির্মিত গাইডওয়ালটি কতটুকু টেকসই হবে এ নিয়ে সন্দেহ আছে জনমনে।
জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটির প্রশস্তকরণ ও মানোন্নয়নে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীনে নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ১২.৬০ কিলোমিটার সড়কের মানোন্নয়ন ও প্রশস্তকরণের কাজ হবে। এর ব্যয় ধার্য করা হয়েছে ৮০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের কাজ শেষ হয়। এখন উদ্বোধনের অপেক্ষা।
মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দেয়া তথ্য মতে, গাইডওয়াল ১ হাজার ৫১০ মিটার দৈর্ঘ্য, ২ মিটার প্রস্থ, ৩ মিটার উচ্চতা এবং ১০ ইঞ্চি পুরুত্ব আরসিসি ঢালাই (উপরে) ও ১৪ ইঞ্চি পুরুত্ব আরসিসি ঢালাই (নিচে) এবং ২ ফুট গভীরতায় এজিং করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে চায়নি মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। গজারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা জানতে পেরেছি এবং পরিদর্শন করেছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়