১৬ জেলায় বৃষ্টিপাত, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা

আগের সংবাদ

চূড়ান্ত হলো ১০ জনের নাম : রাষ্ট্রপতির কাছে তালিকা যাবে কাল > নতুন ইসির শপথ রবিবার!

পরের সংবাদ

সিকিউরিটি গার্ডের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা : স্বামী-স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার ৭

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চাকরির দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীসহ প্রতারক চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কথিত সিনথিয়া সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামসুন্নাহার ওরফে মায়া ও তার স্বামী মো. জুয়েল ভূঁইয়াসহ অন্য গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কামরুজ্জামান ওরফে ডেনিস, ফারহানা ইয়াছমিন ওরফে সুবর্ণা আক্তার, মেহেদী হাসান, আল মামুন ওরফে মাসুদ এবং তাজবির হাসান ওরফে লোহান।
গতকাল সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাব-১ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন। তিনি জানান, আকর্ষণীয় বেতনে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর উত্তরখান থানার আটিপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রটিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি ভুয়া নিয়োগপত্র, ৮০টি জীবনবৃত্তান্ত ফরম, ভিজিটিং কার্ড, টাকা আদায়ের রশিদ, ১০১টি ভর্তির ফরম ও অঙ্গীকারনামা, ১৫টি আইডি কার্ড, তিনটি রেজিস্টার খাতা, ৮টি মোবাইল ফোন ও ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সাবেক সেনা কর্মকর্তার বডিগার্ড, বাসাবাড়ির নিরাপত্তারক্ষী, সুপারভাইজারসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য চটকদার বিজ্ঞাপন দিতেন। তাদের বিজ্ঞাপন দেখে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে জীবনবৃত্তান্ত জমা নেয়া হতো। কয়েক দিন পর যোগাযোগ করে বলা হতো চাকরি হয়েছে। পরে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিরা দেখা করতে এলে সিকিউরিটিসহ বিভিন্ন খাতের নামে সাড়ে ১২ হাজার টাকা জমা নেয়া হতো। এরপর চাকরি না দিয়ে বলা হতো তাদের মতো আরো চাকরিপ্রার্থী সংগ্রহ করতে। চাকরিপ্রার্থী সংগ্রহ করতে পারলে পার্সেন্টিজ হিসেবে ১ হাজার ১০০ টাকা দেয়া হবে। মাসে অন্তত ১৪ জনকে সংগ্রহের টার্গেট দেয়া হতো। এখন পর্যন্ত ৭০০-৮০০ লোককে আকর্ষণীয় বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এ প্রতারক চক্র। চক্রটি ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মাধ্যমিক (এসএসসি) পাস করা বেকার-তরুণদের টার্গেট করত। আর এই চক্রের হোতা স্বামী-স্ত্রী।
চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে টাকাগুলো কোন খাতে ব্যয় করা হয় জানতে চাইলে র‌্যাব-১ এর সিও বলেন, এ অর্থ দিয়ে তারা বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন। এছাড়া তাদের কোম্পানির প্রচারণা ও লোক নিয়োগের জন্য ফেসবুকে বুস্টিং করতেন। তবে এখন পর্যন্ত আমরা অর্থ পাচারের কোনো তথ্য পাইনি। তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত ১৭ জন ভুক্তভোগীর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারাই এই মামলার বাদী হবেন। এছাড়া তাদের আগের কোনো প্রতারণার তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে কোম্পানির কথিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মায়া আগে অন্য আরেকটি সিকিউরিটি কোম্পানিতে কাজ করতেন। সেখান থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে নতুনভাবে প্রতারণা শুরু করেন তিনি। তারা আট মাস ধরে এই কাজ করে আসছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়