কেরানীগঞ্জে ওয়াসিম হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

আগের সংবাদ

সাহিনুদ্দিন খুনের মাস্টারমাইন্ড সাবেক এমপি আউয়াল : ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট চূড়ান্ত করেছে ডিবি

পরের সংবাদ

‘একটা সময় কবিতা লেখার চেষ্টা করতাম’

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

একটি ভালো বই একজন মানুষের জীবনকে বদলে দিতে পারে। বই মানুষের আত্মোন্নয়ন ঘটায়। বই পড়ার নানা দিক নিয়ে কথা হয় নন্দিত অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবুর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার : রেজা শাহীন
ছেলেবেলার পাঠ
আমাদের স্কুলে পাঠাগার ছিল। সে পাঠাগার থেকে ছোট ছোট গল্পের বই নিয়ে পড়া হতো। এসব গল্প পড়তে পড়তে এক সময় পাঠ্যবইয়ের বাইরের বইয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মায়। ছোটবেলায় গোয়েন্দা সিরিজের বই পড়া হতো বেশি। মাসুদ রানা সিরিজের বই ছাড়াও দেশের বাইরের গোয়েন্দা সিরিজ পড়েছি অনেক। তখনকার সময় ‘বেগম’ নামে একটা সাপ্তাহিক পত্রিকা ছিল। এটির সম্পাদক ছিলেন নূরজাহান বেগম। এই পত্রিকাটি আমার মা পড়তেন। আমার মায়ের নামও ছিল নূরজাহান বেগম। পত্রিকাটিতে মায়ের নাম দেখে আমারও পড়ার আগ্রহ তৈরি হয়। যখন বড় হচ্ছি তখন রাশিয়ান গল্প, উপন্যাস পড়তে লাগলাম। লিও টলস্টয়, আলেকজান্ডার পুশকিন, ফিওদর দস্তয়ভস্কি এদের বই একটু একটু করে পড়া শুরু করি তখন।

সাম্প্রতিক পাঠ
এখন তো বইয়ের চেয়ে স্ক্রিপ্ট পড়া হয় বেশি। হাঁ হাঁ হাঁ। যখনই অবসর পাই বই পড়ার চেষ্টা করি। অনেক সময় হাতের কাছে যখন যে বই পাই সেটাই পড়া হয়। কয়েক দিন ধরে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা উপন্যাস ‘আরণ্যক’ পড়ছি। এর আগেও এই বইটা কয়েকবার পড়েছি। আমার প্রকৃতি ভীষণ ভালো লাগে। এই উপন্যাসটি পড়ার সময় প্রকৃতির মায়াভরা রূপ-লাবণ্য যেন চোখের সামনে ভেসে উঠে।

কেন বই পড়ব
আমি যদি একজন অভিনেতার জায়গা থেকে চিন্তা করি তাহলে বলব, একজন অভিনেতার কাজ হচ্ছে মানুষকে আবিষ্কার করা, মানুষের চরিত্রকে আবিষ্কার করা। এক জীবনে সব চরিত্রকে দেখা সম্ভব না। আমরা যদি কোনো একজন লেখকের গল্প-উপন্যাস কিংবা কবিতা পড়ি তাহলে সেই লেখকের সৃষ্টি চরিত্রগুলোর সঙ্গে আমাদের পরিচয় ঘটবে। একজন লেখক চোখের সামনে অনেক কিছু দেখেন, যা আমরা দেখতে পাই না। একেকজন লেখকের চিন্তাশক্তি একেক রকম। বই মানুষকে সমৃদ্ধ করে। বই পড়লে মানুষকে বোঝার ক্ষমতা তৈরি হয়। যে বই পড়ে তার উপলব্ধি এবং যে কখনো বই পড়ে না তার উপলব্ধি এক হয় না।

প্রিয় লেখক
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, শহীদুল জহির- এদের লেখা ভালো লাগে। তাছাড়া আলবেয়ার ক্যামু, গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসসহ প্রিয় লেখকের তালিকায় আরো অনেকেই আছেন।

প্রিয় বই
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আরণ্যক’ আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘খোয়াবনামা’, গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের ‘নিঃসঙ্গতার একশ বছর’ আলবেয়ার ক্যামুর ‘দ্য প্লেগ’ ফিওদর দস্তয়ভস্কির ‘বঞ্চিত লাঞ্ছিত’ এই বইগুলো আমার খুব পছন্দের।

যে ধরনের বই বেশি পড়া হয়
ছোটগল্প এবং উপন্যাস আমার পড়া হয় অনেক। তাছাড়া কবিতাও পড়া হয়। তবে, ছোটগল্প সবচেয়ে বেশি পড়া হয়।

বইমেলার স্মৃতি
১৯৮২ সালে প্রথমবার অমর একুশে বইমেলায় গিয়েছিলাম। আমি ঢাকায় আসার পর আরণ্যক নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত হই। আমাদের মহড়া হতো টিএসসিতে। মহড়া শেষ করে প্রতিদিন বইমেলায় যাওয়াটা আমাদের অভ্যাস ছিল। বইমেলা তখন এত বড় পরিসরে ছিল না। লোকজনও তেমন থাকত না। আমরা মেলার মাঠে গিয়ে বসে থাকতাম। কখনো কখনো আমরা মেলাতে মঞ্চ নাটকও করেছি।

লেখালেখি
একটা সময় কবিতা লেখার চেষ্টা করতাম। এখন আর লেখা হয়ে ওঠে না। মঞ্চ, চলচ্চিত্র এবং নাটকে দীর্ঘসময় কাজ করলাম- এসব অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখার ইচ্ছে আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়