প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
কাগজ প্রতিবেদক : দেশে দৈনিক নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ছাড়িয়েছে ৩১ শতাংশ- যা গত ২২ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর চেয়ে বেশি শনাক্তের হার ছিল গত বছরের ২২ জুলাই। ওই দিন নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ৩২ দশমিক ১৮ শতাংশ শনাক্ত হয়। ওমিক্রনে আক্রান্ত শিগগিরই যে ডেল্টার সংক্রমণের রেকর্ডও ছাড়াবে তা দৈনিক সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখেই আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সেই আশঙ্কাই যেন সত্য হতে যাচ্ছে। ভাইরাসটির অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রন সংক্রমণ শুরুর মাত্র ৩ সপ্তাহের মধ্যে শনাক্তের হার ডেল্টার চূড়ার কাছাকাছি পৌঁছেছে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৫৭টি পরীক্ষাগারে ৩৪ হাজার ৮৫৪টি নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমণের উপস্থিতি মিলেছে ১০ হাজার ৯০৬টিতে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২৯ শতাংশ। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে ৭ হাজার ২৯৭ জনই ঢাকা বিভাগের। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ৫৪৬ জন, সিলেটে ৫২৯ জন, রাজশাহীতে ৫২৫ জন, খুলনায় ৪৮৭ জন, ময়মনসিংহে ১৮৮ জন, বরিশালে ১৭৪ জন আর রংপুরে ১৬৫ জন। এই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৭৮২ জন।
এর আগে গত শনিবার ৩৪ হাজার ৩১১টি নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমণের উপস্থিতি মিলেছে ৯ হাজার ৬১৪টিতে, মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। শুক্রবার ৪০ হাজার ১৩৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়। রোগী শনাক্ত হয় ১১ হাজার ৪৩৪ জন। ১২ জনের মৃত্যু হয়। শনাক্তের হার ছিল ২৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ। বৃহস্পতিবার ৪১ হাজার ২৯২টি নমুনা পরীক্ষা হয়। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ৮৮৮ জন। শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ, আর মৃত্যু হয় ৪ জনের। বুধবার ৩৭ হাজার ৮৩০টি নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমণের উপস্থিতি মিলেছে ৯ হাজার ৫০০টিতে, মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ১১ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ২১ লাখ ১৬ হাজার ৮৮০টি। এর মধ্যে রোগী শনাক্ত হয় ১৬ লাখ ৮৫ হাজার ১৩৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬১ জন। আর মোট প্রাণহানির সংখ্যা ২৮ হাজার ২২৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ৪১ জন এবং নারী ১০ হাজার ১৮২ জন। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১৪ জনের মধ্যে ৬ জন পুরুষ ও ৮ জন নারী। বয়স বিবেচনায় ত্রিশোর্ধ্ব ১ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪ জন, ষাটোর্ধ্ব ৫ জন, সত্তরোর্ধ্ব ১ জন আর আশি ঊর্ধ্ব ২ জন। রাজশাহী ছাড়া সব বিভাগেই মৃত্যু হয়েছে। ঢাকায় ৫ জন, চট্টগ্রামে ২ জন, খুলনায় ১ জন, বরিশালে ১ জন, সিলেটে ২ জন, রংপুরে ১ জন এবং ময়মনসিংহে ১ জন। ১১ জন সরকারি হাসপাতালে ও ৩ জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।