নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে রড মিস্ত্রির মৃত্যু

আগের সংবাদ

ওমিক্রনে ঝুঁকি বাড়ছে শিশুদের : রোগী বেড়েছে ৫ থেকে ৬ গুণ, উপসর্গ নিয়েও হাসপাতালে ভিড় করছেন রোগীরা

পরের সংবাদ

জাতীয় সংসদে বিএনপির অভিযোগ : বিল জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ বিল-২০২২ উপস্থাপনের বিরোধিতা করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি দলীয় এমপি হারুনুর রশিদ ও রুমিন ফারহানা। তবে তাদের বক্তব্যকে গুরুত্ব না দিয়ে আইনমন্ত্রী বিলটি উত্থাপন করেন এবং পরে স্পিকার বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ৭ দিনের মধ্য রিপোর্ট দেয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠান।
গতকাল রবিবার বিলটি সংসদে ওঠানোর বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে বিএনপির হারুনুর রশিদ বলেন, যে বিলটি উপস্থাপন করা হয়েছে সেটা জনগণের, এ দেশের রাজনৈতিক দল ও সুধী সমাজের যে প্রত্যাশা তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আমরা দীর্ঘদিন দিন ধরে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার জন্য একটি আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়ে আসছিলাম। আইনমন্ত্রী যে বিলটি উত্থাপন করেছেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজ গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। হারুন বলেন, আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৬ সালে বলেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন কমিশন সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে যাবেন না। ১৯৯৫-৯৬ সালে দীর্ঘ ১৭২ দিন হরতালের মধ্যদিয়ে আজকের প্রধানমন্ত্রী সেই সময় দাবি করেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাবেন না। বর্তমান সার্চ কমিটির মধ্য দিয়ে যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে আগামি ফেব্রুয়ারি মাসে তার মেয়াদ শেষ হবে। তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস ও দুর্নীতির যে অভিযোগ রয়েছে, তার জন্য তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা খুবই জরুরি। আজকে যে আইনটি তোলা হয়েছে তাতে ধরে নিতে পারি ইতোপূর্বে সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত দুটি কমিশনকে বৈধতা দেয়ার জন্য আনা হয়েছে। এখানে নতুনত্ব কিছু নেই। ইতোপূর্বে যে কমিশন গঠিত হয়েছে তার অনুরূপ বিল এখানে তোলা হয়েছে। এই আইনটি প্রশ্নবিদ্ধ। এই আইন দিয়ে বর্তমান সংকটের নিরসন হবে না। সংকট থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারব না। আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আমি দাবি করব- বিলটি প্রত্যাহার করুন। আইনমন্ত্রী কিছুদিন আগে বলেছিলেন, এরকম একটি আইন তৈরির জন্য রাজনৈতিক দল ও সুধী সমাজের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। এই কথা বলার পর তিনি কী করে এই বিলটি আনেন।
এর পরে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর দেয়া বক্তব্যে বিএনপির সংরক্ষিত আসনের এমপি রুমিন ফারহানা বলেন, বিগত দুটি নির্বাচনে-ভোটারবিহীন ও ভোট চুরির নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এবার নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে যাতে নিজের পছন্দের লোককে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করা যায় তার পাকাপোক্ত ব্যবস্থা করতে চাইছে বর্তমান সরকার। তিনি বিলটি প্রত্যাহার করে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও জনমত যাচাইয়ের দাবি জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়