কাগজ ডেস্ক : প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ঘিরে প্রায় ২ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাকে সংরক্ষিত অঞ্চল ঘোষণা করায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন হলিউড তারকা লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিও। পরিবেশবাদী এই অভিনেতা গত শুক্রবার নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে এক টুইটে এ অভিনন্দন জানান।
ডিক্যাপ্রিও লিখেছেন, ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপ ঘিরে নতুন সংরক্ষিত অঞ্চল ঘোষণা করায় বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় মানুষ এবং এনজিওগুলোকে অভিনন্দন। এ পদক্ষেপ বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপটিতে জীববৈচিত্র্য এবং বাস্তুসংস্থান রক্ষায় ভূমিকা রাখবে।’
উল্লেখ্য, টাইটানিক তারকা ৪৭ বছর বয়সি ডিক্যাপ্রিও এরই মধ্যে নিজেকে পরিবেশবাদী হিসেবে পরিচিত করে তুলেছেন।
বৈশ্বিকভাবে হুমকির মুখে থাকা প্রবাল, গোলাপি ডলফিন, হাঙ্গর, রে-মাছ, সামুদ্রিক কাছিম, সামুদ্রিক পাখি, সামুদ্রিক ঘাস, সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য এবং এদের আবাসস্থল সংরক্ষণ; সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের টেকসই আহরণের মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবিকার মানোন্নয়ন; ব্লু ইকোনমি সমৃদ্ধকরণ ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি-১৪) অর্জনের লক্ষ্যে গত ৭ জানুয়ারি সরকার বঙ্গোপসাগরের ১ হাজার ৭৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে ‘সেন্টমার্টিন মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া’ ঘোষণা করে। বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণ-পূর্বে মিয়ানমার সীমান্তের কাছে সাগরের বুকে ৮ দশমিক ৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। প্রশাসনিকভাবে এটি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার একটি ইউনিয়ন। সেখানে গ্রাম আছে সব মিলিয়ে ৯টি। স্থায়ী বাসিন্দা প্রায় ১০ হাজার।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ সামুদ্রিক কাছিমের প্রজনন ক্ষেত্র। দ্বীপটিতে ৬৮ প্রজাতির প্রবাল, ১৫১ প্রজাতির শৈবাল, ১৯১ প্রজাতির মোলাস্ট বা কড়ি জাতীয় প্রাণী, ৪০ প্রজাতির কাঁকড়া, ২৩৪ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, পাঁচ প্রজাতির ডলফিন, চার প্রজাতির উভচর প্রাণী, ২৮ প্রজাতির সরীসৃপ, ১২০ প্রজাতির পাখি, ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ১৭৫ প্রজাতির উদ্ভিদ, দুই প্রজাতির বাদুড়সহ নানা প্রজাতির প্রাণীর বসবাস ছিল এককালে। এসব প্রজাতির অনেকগুলো এখন বিলুপ্তির পথে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেও ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে এসব জীববৈচিত্র্য।
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ১৯৯৯ সালে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে ‘পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’ ঘোষণা করে সরকার।