সেশনজট নিরসনে গ্রীষ্মকালীন ছুটি কমাল ঢাবি

আগের সংবাদ

কী নির্দেশনা পেলেন ডিসিরা : জনগণের সেবক হতে হবে > খাদ্য নিরাপত্তা-বাজার স্থিতিশীল রাখা > সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ

পরের সংবাদ

সড়কে ঝরল সাংবাদিক হাবীব রহমানের প্রাণ : প্রধানমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীর শোক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর হাতিরঝিলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দৈনিক সময়ের আলোর সিনিয়র রিপোর্টার এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাবীব রহমান (৩৪)। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে হাতিরঝিলের বেগুনবাড়ী প্রান্তের সিদ্দিক মাস্টারের ঢালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, হাতিরঝিল সড়ক দিয়ে বাসায় যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাতে আঁছড়ে পড়ে মৃত্যু হয়েছে হাবীব রহমানের। ঘটনাস্থল থেকে তার ব্যবহার করা মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে আওয়ামী লীগ বিটের মেধাবী এ সাংবাদিকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো সংবাদিক সমাজে। কয়েকশ’ সাংবাদিক শোক জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। শোকে স্তব্ধ তার কর্মস্থলের সহকর্মী ও পরিবারের সদস্যরা। পৃথক বার্তায় গভীর শোক প্রকাশ করে শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। এছাড়া ডিআরইউ, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বিএফইউজেসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন পৃথক বিবৃতিতে শোক জানিয়েছে।
হাতিরঝিল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কায়েস উদ্দিন বলেন, রাত আড়াইটার কিছু সময় পরে এক পথচারী ৯৯৯-এ ফোন করে দুর্ঘটনার খবর দেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় হাবীব রহমানকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সাড়ে ৩টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে হাতিরঝিল থানায় নেয়া হয়েছে। এটি দুর্ঘটনায় নাকি অন্য কোনো কারণ আছে তা তদন্তের পর বলা যাবে বলেও জানান কায়েস উদ্দিন।
নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, হাবীব রহমানের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের মানরায়। তার বাবার নাম মোহাম্মদ পিয়ার মিয়া। স্ত্রী হাসি আক্তার রিমি ও একমাত্র সন্তান সৌরভ হোসেন রাজসহ হাতিরঝিল এলাকার ৫/এ জোহরা মঞ্জিলের একটি ফ্লাটে থাকতেন হাবীব। ৩ বোন ও ২ ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর হাবীব রহমান সময়ের আলোতে যোগদানের আগে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য ছিলেন তিনি।
ঢামেক মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর গতকাল বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে হাবীব রহমানের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা এবং বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তার কর্মস্থল সময়ের আলো কার্যালয়ে তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চতুর্থ জানাজা শেষে রাতেই দাফন করার কথা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়