সোনারগাঁওয়ে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশনা নিয়ে বিভ্রান্তি

পরের সংবাদ

ধলেশ্বরীতে ট্রলারডুবি : মা-মেয়েসহ ৬ মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অনতু রেজা, নারায়ণগঞ্জ থেকে : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের মধ্যে মা-মেয়েসহ ছয়জনের লাশ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা। গতকাল রবিবার সকালে বক্তাবলী ফেরিঘাট এলাকায় তাদের মরদেহ ভেসে উঠলে উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন।
তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন- নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার চর মধ্যনগর এলাকার সোহেল মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩০), মেয়ে তাসমিন আক্তার (১৬), কলেজছাত্র সাব্বির হোসেন ও জোসনা। অপর দুজনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। লাশ দুটি নদীর তীরে রাখা হয়েছে। তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।
বক্তাবলী নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোরশেদ মো. জিয়াউল আলম জানান, সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নদীতে ছয়টি লাশ ভেসে উঠলে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। চারজনের পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় তাদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি দুটি লাশ নদীর তীরে রাখা হয়েছে। শনাক্ত হলেই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ট্রলারটিকে ডুবিয়ে দেয়া এম ভি ফারহান-৬ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চের চালক, মাস্টার ও সুকানিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রবিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট নূর নাহার ইয়াসমিনের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
আদালত পুলিশের পরির্দশক আসাদুজ্জামান জানান, বেপরোয়া গতিতে লঞ্চ চালিয়ে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবিয়ে দেয়ার ঘটনায় নৌপুলিশ মামলা করেছে। মামলায় গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামি লঞ্চের মাস্টার মো. কামরুল হাসান, চালক মো. জসিমউদ্দিন ভূঁইয়া ও সুকানি মো. জসিমকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত রবিবার শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন। দুপুরে রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সকালে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ খেয়া পারাপারের সময় লঞ্চের ধাক্কায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার ডুবে যায়। এতে ১০ যাত্রী নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর নৌনিরাপত্তা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে অভিযুক্ত লঞ্চ এম ভি ফারহান-৬ এর মাস্টার, চালক ও সুকানিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন। অভিযুক্ত লঞ্চটির মালিক বরিশাল-৩ আসনের জাপা দলীয় সাংসদ গোলাম নবী মুরাদ টিপু।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে ঢাকাগামী এম ভি ফারহান-৬ নামে লঞ্চ বেপরোয়া গতিতে এসে ৪০-৫০ জন যাত্রীসহ খেয়া পারাপারের একটি ট্রলারকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় ১০ জন ট্রলারের যাত্রী নিখোঁজ হন। ওই দিন বিকালে কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান (৪০), ইনচার্জ ড্রাইভার জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া (৪০) ও সুকানি মো. জসিম মোল্লার (৩০) দায়িত্বে অবহেলার কারণেই এই দুঘর্টনা ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়