মেয়র প্রার্থীদের সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা ২১ লাখ টাকা : নাসিক নির্বাচন

আগের সংবাদ

নতুন কারিকুলাম নিয়ে তালগোল : কাজ চলছে এনজিওর প্রেসক্রিপশনে > কমিটি থেকে ৪ বিশেষজ্ঞের পদত্যাগ > বই ছাপা হয়নি তবু পাইলটিং

পরের সংবাদ

ঢাবির প্রশ্নফাঁস : ১২৬ আসামির বিচার শুরু

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১২৬ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটির আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। গতকাল সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম হাসিবুল হক অভিযোগ গঠন করে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩০ মার্চ দিন ধার্য করেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত আসামিরা সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। অন্যদিকে অনুপস্থিত ২৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, মামলাটির অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। ১২৬ আসামির মধ্যে ৮৭ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বাকিরা রাজশাহী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের মালিক ও শিক্ষক।
ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর গণমাধ্যমকর্মীদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল ও অমর একুশে হলে অভিযান চালায় সিআইডি। এ সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক মহিউদ্দিন রানা ও অমর একুশে হল শাখা ছাত্রলীগের থিয়েটার ও বিতর্কবিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনকে আটক করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার হল থেকে পরীক্ষার্থী ইশরাক হোসেন রাফিকে আটক করা হয়।
সিআইডি তদন্তে জানতে পারে, প্রশ্নফাঁসের ঘটনার সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমীর, মিজান, আজাদ, ওমেগা কোচিংয়ের তন্ময় ও মাইলস্টোন স্কুলের সাবেক ছাত্র সুব্রত জড়িত। এছাড়া চক্রটির মূলহোতা হিসেবে বাংলাদেশ ক্রীড়াশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) বহিষ্কৃত সহকারী পরিচালক অলিপ কুমার বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সংঘবদ্ধ চক্রটি দেশব্যাপী প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত ছিল।
এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিনহাজুল ইসলাম মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্ত চলাকালে বাকি আসামিদের আটক করা হয়। এরপর ২০১৯ সালের ২৩ জুন ১২৬ জনকে অভিযুক্ত করে পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এছাড়া একই দিনে আসামিদের মধ্যে ১০৪ জনের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে পৃথক আরেকটি চার্জশিট জমা দেয়া হয়। আইসিটি মামলাটি বর্তমানে ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়