মেডিকেল বোর্ড : লিভার সিরোসিসে খালেদার ব্লিডিং হচ্ছে

আগের সংবাদ

সর্বত্র শোকের ছায়া : থেমে গেল জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের চরণযুগল

পরের সংবাদ

সড়কে ছাত্রের মৃত্যুর পর রামপুরায় ৮ বাসে আগুন : আরো ৪টি বাস ভাঙচুর, ঘাতক চালক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যেই ঢাকার রামপুরায় বাসচাপায় এক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর বেশ কয়েকটি বাস পুড়িয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা, ভাঙচুরও করেছে আরো কয়েকটি বাস। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে গ্রিন অনাবিল পরিবহনের একটি বাসের চাপায় ওই শিক্ষার্থী মারা যায়। এর পরপরই জনতা বাস আটকে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে। ঘটনার পর থেকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত ১টা) মালিবাগ থেকে রামপুরা পর্যন্ত দুই পাশের সড়ক বন্ধ ছিল।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, নিহত মাঈনুদ্দীন রামপুরা একরামুন্নেসা স্কুল থেকে এবার বাণিজ্য বিভাগে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল। রামপুরা তিতাস রোডে তার বাসা। ওই এলাকায় একটি চায়ের দোকান চালান তার বাবা।
প্রত্যক্ষদর্শী আজিজুল হক বলেন, ওই শিক্ষার্থী রামপুরা বাজার সংলগ্ন লাজ ফার্মার সামনে দিয়ে সড়ক অতিক্রম করছিল। এ সময় মালিবাগমুখী গ্রিন অনাবিল পরিবহনের বেপরোয়া গতির একটি বাস তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জীবন চৌধুরী বলেন, বাসের চাপায় ওই শিক্ষার্থীর দেহ একেবারে পিষে যায়। পরে উত্তেজিত জনতা গ্রিন অনাবিলের বাসটিসহ কয়েকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দিতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আটটি বাসে আগুন দেয়ার পাশাপাশি চারটি বাস ভাঙচুর করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, রাত সাড়ে ১০টার পরপরই রামপুরার আবুল হোটেলের পাশে একটি বাসে আগুন দেয়ার সংবাদ পাই। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট পাঠানো হয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে দেখেন আরো বেশ কয়েকটি বাসে আগুন দেয়া হয়েছে। পরে ইউনিট সংখ্যা বাড়ানো হয়।
রাত ১টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আবদুল আহাদ ভোরের কাগজকে বলেন, এ ঘটনায় ঘাতক বাসটির চালককে আটক করা হয়েছে। বিক্ষুব্ধ জনতার আগুনে ভস্মীভূত বাসগুলো এরই মধ্যে সড়ক থেকে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে সড়কটি চালু করার চেষ্টা করছি আমরা।
তিনি আরো বলেন, নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ আপাতত

পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলেও পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ময়নাতদন্ত করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তানে দক্ষিণ সিটির ময়লার গাড়ির ধাক্কায় নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান মারা যায়। সে ওই কলেজের মানবিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। এ ঘটনার ঠিক পরদিন ডিএনসিসির ময়লার গাড়ির ধাক্কায় আহসান কবির খান নামে এক ব্যক্তি মারা যান।
এ দুই ঘটনার পর থেকে সড়কে মৃত্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে মুখর রাজধানী। শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জমায়েত হয়ে আন্দোলন করছে। এমন পরিস্থিতিতেই রাজধানীর সড়কে আরো এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হলো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়