গুলশানের ইউনিমার্ট ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

আগের সংবাদ

ধাক্কা কাটিয়ে চাঙ্গা অর্থনীতি

পরের সংবাদ

ড. আব্দুর রাজ্জাক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য : প্রার্থী বাছাইয়ে ব্যক্তিগত ইচ্ছের প্রতিফলন যেন না ঘটে

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই ও মনোনয়ন চূড়ান্তের কাজটা বেশ জটিল। তৃণমূলে প্রার্থী মূল্যায়ন করা, কোন প্রার্থীর জনপ্রিয়তা কেমন, কার নেতৃত্বের গুণাবলী কেমন- এগুলো বাছাই করা আমাদের পক্ষে কিছুটা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাধ্য হয়ে ভারসাম্য ঠিক রাখতে ইউনিয়ন, উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ের তালিকা মূল্যায়ন, বিশ্লেষণ ও আলোচনা করেই আমরা প্রার্থী চূড়ান্ত করে থাকি।
গতকাল রবিবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই ও যোগ্যদের বঞ্চিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভোরের কাগজকে টেলিফোনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন কথা বলেন তিনি।
তৃণমূলে প্রার্থী বাছাইয়ে কিছু জটিলতার কথা উল্লেখ করে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী প্যানেল ঠিক করার প্রাথমিক দায়িত্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের। ইউনিয়ন কমিটির কার্যনির্বাহী সংসদ ও সব ওয়ার্ডের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বর্ধিত সভা করে কমপক্ষে তিন সদস্যের প্যানেল সুপারিশ করবে। প্রার্থীদের যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা মূল্যায়ন করে ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যুক্ত স্বাক্ষরে প্রার্থী তালিকা কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডে পাঠাবে। কিন্তু তৃণমূলে প্রার্থী বাছাইয়ে অনেক সময় সমস্যা হয়। জেলা ও উপজেলা নেতা কিংবা স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের প্রাধান্য থাকে। প্রার্থীদের সঙ্গে তাদের সম্পর্কে ঘাটতি থাকে। প্রার্থী বাছাইয়ে এসব বিষয় বা ব্যক্তিগত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। নিরপেক্ষতা থাকে না। জনপ্রিয়রা বাদ যান। এসব অভিযোগ আমরা পাই। এসব সমস্যার মধ্য দিয়েই আমাদের সমাধানের পথ বের করতে হবে। নিচের লেভেলে প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়া যেন আরো ভালো হয়। ব্যক্তিগত প্রভাব বা কারো কোনো প্রতিহিংসা যেন কাজ না করে। আরো নিরপেক্ষভাবে প্রার্থী প্যানেল নির্ধারণ করা হয়। সত্যিকারেই যারা জনপ্রিয়, তারাই যেন প্রার্থী প্যানেলে থাকে। তাদের সবার নাম যেন কেন্দ্রে আসে। এ বিষয়ে আগামীতে আমরা সতর্ক থাকব। তৃণমূলের প্রতি আমাদের সেই আহ্বান থাকবে। সেসব নাম বিচার-বিশ্লেষণ করে মনোনয়ন বোর্ড একজনকে চূড়ান্ত করবে।
বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিজয় ও নৌকার প্রার্থীদের হারার কারণ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের এই সদস্য বলেন, এত নির্বাচন। প্রতিটি ইউনিয়নে গড়ে ৫ থেকে ৭ জন প্রার্থী। সবাই কোনো না কোনোভাবে যোগ্য। তাদের মধ্যে আবার বিগত নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হয়েছেন তারাও আছেন, যারা পরাজিত হয়েছেন, তারাও আছেন। আমরা তাদের মনোনয়ন দিচ্ছি না। ভবিষ্যতেও দেব না। কাজেই মনোনয়ন না পেয়ে তারা এবারো বিদ্রোহী হচ্ছেন। কেউ কেউ আবার গত নির্বাচনে জিততে না পেরে এবারো নৌকা বঞ্চিত হয়ে প্রার্থী হচ্ছেন। তারা ভোটারদের কিছুটা সহানুভূতি পাচ্ছেন। তাদের ভোটও বাড়ছে। এ কারণে আমরা যাদের মনোনয়ন দিচ্ছি, তারা অনেক জায়গায় পরাজিত হচ্ছেন। তবে সব ক্ষেত্রেই যে এমনটা হচ্ছে, তা কিন্তু নয়। তাছাড়া বিগত দিনে যারা নৌকার চেয়ারম্যান ছিলেন, তাদের কারো কারো সমালোচনা বা বদনামও আছে। এবারো তারা মনোনয়ন পেলে, তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীরাও প্রার্থী হচ্ছেন। এজন্য কিছু জায়গায় নৌকা পাস করছে না। কাজেই মনোনয়ন দেয়াটা আমাদের জন্য অনেকটা কঠিন হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়