জাবির ভর্তি পরীক্ষা : প্রক্সি দিতে গিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী কারাগারে

আগের সংবাদ

এশিয়ান আর্চারিতে পদক খরা ঘোচাল বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

১৭ নথি গায়েবে স্বাস্থ্যের চার কর্মচারী বরখাস্ত

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের ১৭টি ফাইল গায়েবের ঘটনায় চার কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বরখাস্তকৃতরা হলেন- ক্রয় ও সংগ্রহ-২ শাখার সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর আয়েশা সিদ্দিকা ও জোসেফ সরদার, প্রশাসন-২ শাখার (গ্রহণ ও বিতরণ ইউনিট) অফিস সহায়ক বাদল চন্দ্র গোস্বামী এবং প্রশাসন-৩ শাখার অফিস সহায়ক মিন্টু মিয়া।
মো. আলী নূর সাংবাদিকদের বলেন, কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সে অনুযায়ী তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যক্রম চলবে। আইন অনুযায়ী চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে ১৭টি নথিসহ একটি ফাইল হারিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে গত ২৮ অক্টোবর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাদিরা হায়দার। সেখানে বলা হয়, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের ক্রয়সংক্রান্ত শাখা-২ এর কম্পিউটার অপারেটর জোসেফ সরদার ও আয়েশা ২৭ অক্টোবর বুধবার কাজ শেষ করে ফাইলটি একটি কেবিনেটে রেখে গিয়েছিলেন। ওই ফাইলের মধ্যে ১৭টি নথি ছিল। পরদিন অফিসে গিয়ে কেবিনেটে ওই ফাইলটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। গায়েব হওয়া ফাইলের মধ্যে ছিল- শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজসহ অন্যান্য মেডিকেল কলেজের কেনাকাটা সংক্রান্ত একাধিক নথি, ইলেকট্রনিক ডেটা ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং কর্মসূচি, নিপোর্ট অধিদপ্তরের কেনাকাটা, ট্রেনিং স্কুলের যানবাহন বরাদ্দ ও ক্রয়সংক্রান্ত নথি। আর এগুলোর বেশির ভাগই বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও বিভাগের কেনাকাটার সঙ্গে সম্পর্কিত।
এ ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. শাহ্ আলমকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা) মো. আহসান কবীর, উপসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) মোহাম্মদ আবদুল কাদের ও উপসচিব মল্লিকা খাতুন।
জিডির পর ঘটনার ছায়াতদন্ত শুরু করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তদন্তের অংশ হিসেবে ৩১ অক্টোবর সকালে সচিবালয়ে যায় ‘সিআইডি ক্রাইম সিন’। তারা সচিবালয়ের যে কক্ষ থেকে ফাইল চুরি হয়েছে সেখান থেকে আলামত সংগ্রহ করেন। এ কক্ষে কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডির কর্মকর্তারা।
ফাইল চুরির তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ৯ কর্মচারী ও নাসিমুল গনি টোটন নামে এক ঠিকাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় সিআইডি। পরে ৫ নভেম্বর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। টোটনকে রাজশাহী থেকে ধরে আনা হয়েছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়