জাবির ভর্তি পরীক্ষা : প্রক্সি দিতে গিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী কারাগারে

আগের সংবাদ

এশিয়ান আর্চারিতে পদক খরা ঘোচাল বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

মোস্তাফা জব্বার : শেখ হাসিনা নিজেই আগে ডিজিটাল হন

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৭, ২০২১ , ১:১৪ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই ডিজিটাল হয়েছিলেন বলে জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেছেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি শেখ হাসিনার আগ্রহ ছিল প্রবল। আর এর ব্যবহারের মাধ্যমে জাতির ভাগ্যোন্নয়নের ধারণা তার মনে রচিত হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ে। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনেই আওয়ামী লীগ ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করে। তখন প্রেস রিলিজ পাঠাতে শেখ হাসিনা কম্পিউটারের ব্যবহার শুরু করেন। বিজয় কি-বোর্ডে তা টাইপ করা হতো। একই সঙ্গে বার্তা সংস্থা ও পত্রিকা অফিসে কম্পিউটারে ছবিও পাঠানো হতো। ভোরের কাগজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, কোন দেশের সঙ্গে ডিজিটাল শব্দটি ব্যবহার করা যায়, এ ধারণাটিও প্রথম চালু করে বাংলাদেশ। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা ঘোষণা করে। ভারত ২০১৪ সালের ১৫ আগস্ট ও ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর পাকিস্তান ডিজিটাল দেশ গঠনের কথা ঘোষণা দেয়।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না। শুধু এটুকু বলা যায় যে, এটি শুরু করা না হলে বাংলাদেশ আজকের জায়গায় আসতে পারত না। ৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত কোনো সরকার ডিজিটাল উন্নয়নে কাজ করেনি। আওয়ামী লীগ যতবারই সরকার গঠন করেছে, ততবারই এ খাতের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। কর ও শুল্ক ছাড় এবং ভর্তুকি দিয়ে এ খাতের বিকাশ ঘটানো হয়েছে। মোবাইল ফোনের একচেটিয়া ব্যবসা ভাঙা হয়েছে। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়েছে। মোবাইলে ২জি থেকে আমরা ফাইভ-জির যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশও ব্যবহার করছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা। দেশের চাহিদা মিটিয়ে আমরা ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করছি। ২টি সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে বাংলাদেশ এখন সংযুক্ত রয়েছে। আরো একটিতে সংযুক্ত হব আমরা। অথচ ১৯৯৪ সালে বিনামূল্যে সাবমেরিন ক্যাবলে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েও তৎকালীন বিএনপি সরকার সেটি নেয়নি। ফলে দেশ ১৪ পিছিয়ে যায়।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন কেবল চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সহায়ক হবে না উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, এটি মূলত বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনের হাতিয়ার। এর মধ্য দিয়েই ভবিষ্যৎ উন্নত বাংলাদেশের পথ রচিত হচ্ছে। এ দেশের উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, মানুষের জীবনমান- সব কিছুই নির্ভর করছে এর অগ্রযাত্রার ওপর। তিনি বলেন, আমরা এবার করোনায় ডিজিটাল বাংলাদেশে সক্ষমতা দেখেছি। ভবিষ্যতে আরো দেখব। আমাদের দেশের সফটওয়্যার ও আইটি সেবা বিশ্বের ৮০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এখাতে রপ্তানি ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে তা ৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে আমরা আশাবাদী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ মোবাইল, ল্যাপটপ ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছে। দেশীয় চাহিদার ৭০ শতাংশ মোবাইল এখন দেশেই উৎপন্ন হয়। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের প্রযুক্তিপণ্য বিশ্ববাজার দখল করবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়