জাবির ভর্তি পরীক্ষা : প্রক্সি দিতে গিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী কারাগারে

আগের সংবাদ

এশিয়ান আর্চারিতে পদক খরা ঘোচাল বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

জুনাইদ আহমেদ পলক : শহর-গ্রামে সাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে শহর ও গ্রামের মধ্যে সাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেছেন, এখন এই দুয়ের মধ্যে কোনো দূরত্ব নেই। প্রত্যন্ত অঞ্চলে থেকেও একজন তরুণ এখন বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করতে পারছে। তার উদ্ভাবন, চিন্তাশক্তি ও মেধা কাজে লাগিয়ে ঘরে বসেই অর্থ উপার্জন করতে পারছে। ২০০৮ সালের আগে যা কল্পনাই করা যেত না। ভোরের কাগজকে তিনি এসব কথা বলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এগুলো এমনি এমনি হয়নি। এর একটি রূপকল্প ছিল। তা বাস্তবায়নের রূপরেখা ছিল। সে অনুযায়ী কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্পে এবং তার সুযোগ্য সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে। ৫৬টি মন্ত্রণালয় ও সংস্থা মিলে তা বাস্তবায়ন করেছে।
তিনি বলেন, মোবাইল, কম্পিউটার, ইন্টারনেটে অভ্যস্থ বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষায় আইসিটি অন্তর্ভুক্ত করার ধারণা সজীব ওয়াজেদ জয়ের আগে কেউ ভাবেনি। ২০০৯ সালে আইসিটি নীতিমালায় সুনির্দিষ্ট ৩০৬টি করণীয় নির্ধারণ করে দেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের ৪ হাজার ৫০১টি ইউনিয়নে একযোগে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র উদ্বোধন করেন, যা বর্তমানে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) নামে পরিচিত। এসব ডিজিটাল সেন্টার থেকে ২৭০টির বেশি ধরনের সরকারি-বেসরকারি সেবা জনগণ পাচ্ছে। ডিজিটাল সেন্টার সাধারণ মানুষের জীবনমান সহজ করার পাশাপাশি দৃষ্টিভঙ্গিও বদলে দিয়েছে। মানুষ এখন বিশ্বাস করে, ঘরের কাছেই সব ধরনের সেবা পাওয়া সম্ভব। মানুষের এই বিশ্বাস অর্জন ডিজিটাল বাংলাদেশের পথচলায় সবচেয়ে বড় পাওয়া।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, গত ১২ বছর ধরে তথ্যপ্রযুক্তির নানা উদ্যোগে শিক্ষা ব্যবস্থা সহজ হয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে এনে দিয়েছে নতুন মাত্রা। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ফলে দেশের যে কোনো প্রান্তে অর্থনৈতিক লেনদেনের সুবিধা সাধারণ মানুষের জীবনে এনে দিয়েছে স্বস্তি। নতুন উদ্যোক্তাদের সরকারি সহায়তা দিতে তৈরি করা হয়েছে ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ’ প্লাটফর্ম। বিকাশ ঘটেছে ই-কমার্সের। প্রযুক্তির ছোঁয়া বদলে দিয়েছে কৃষকের জীবন। কৃষি বাতায়ন ও কৃষক বন্ধু কলসেন্টার চালু করা হয়েছে। ‘কোভিড-১৯’ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছিল, কিন্তু বাংলাদেশের সমস্যা হয়নি।
তিনি বলেন, সরকারি অফিসে ই-নথি ব্যবস্থা সেবা কার্যক্রমকে গতিশীল করেছে। ‘ফোর টায়ার ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার’ প্রকল্পের আওতায় দেশে একটি সমন্বিত ও বিশ্বমানের ডাটা সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে। ৩৯টি হাই-টেক পার্ক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ৩ লাখের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইওটি, রোবোটিকস, সাইবার সিকিউরিটির উচ্চ প্রযুক্তির ৩১টি বিশেষায়িত ল্যাব করা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ‘ডিজিটাল সেবার বিস্তার ও উন্নতি ঘটিয়ে বাংলাদেশ আগামী ৫ বছরে জাতিসংঘের ই-গভর্ন্যান্স উন্নয়ন সূচকে সেরা ৫০টি দেশের তালিকায় থাকবে বলে আমরা আশাবাদী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়