কক্সবাজার : জহিরুল হত্যার ঘটনায় শিবির নেতা গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

‘ভয়কে জয়’ করেছেন এসএসসি পরীক্ষার্থীরা

পরের সংবাদ

২ জেলার মানুষের ভোগান্তি : বন্যায় ভেঙে যাওয়া সড়ক মেরামতে নেই উদ্যোগ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি : তিস্তা নদীর দুই পাড়ে দুটি জেলা। দক্ষিণে বিভাগীয় শহর রংপুর। অপর পাড়ে লালমনিরহাট জেলা। দুই জেলার মানুষের হাজার বছরের কষ্ট লাঘব করতে তিস্তা নদীতে গঙ্গাচড়ার মহিপুর ঘাটে রংপুর-কাকিনা-বুড়িমারী সড়কে ২০১২ সালে গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা তিস্তা সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৮ সালে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলে মানুষের চলাচলের জন্য খুলেও দেয়া হয়। এতে দুই জেলার মানুষের দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়নে জেগে উঠেছিল উন্নয়নের নতুন স্বপ্ন।
জানা গেছে, চলতি বছরের ২০ অক্টোবর তিস্তা নদীর আকস্মিক বন্যায় ওই সংযোগ সড়ক ভেঙে যায়। এতে রুদ্বেশ্বর গ্রামে সড়কটির প্রায় ১০০ মিটার অংশ ধসে যায়। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ফলে ২ জেলার ৩ লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়ে। সম্প্রতি সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, রংপুর-লালমনিহারট-বুড়িমারী সড়কের ১০০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ মিটার প্রস্থ সড়ক ধসে গেছে। লোকজন কোনো রকমে পায়ে হেঁটে এবং বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেলে চলাচল করলেও ইজিবাইক, রিকশাভ্যানসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এখন পর্যন্ত সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে দুই জেলাবাসীর দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। 
ভাঙা সড়ক অতিক্রমের সময় কথা হয় পাটগ্রামের উপজেলার রুবেল মিয়ার (৩৫) সঙ্গে। তিনি জানান, ‘আমার বাবার উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজে গিয়েছিলাম। তবে হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সযোগে নিতে চাইলে অতিরিক্ত ৫০ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয়েছে। এজন্য অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ায় আমাকে বাড়তি টাকা গুনতে হয়েছে।’ গঙ্গাচড়ার মাইক্রোবাস ড্রাইভার শাহাজাহান জানান, রংপুর-পাটগ্রাম রুটে আমি গাড়ি চালাই। প্রতি সপ্তাহে এ রুটে চার পাঁচটি ভাড়া পেতাম। রুদ্রেশ্বর গ্রামে সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় এখন সে ভাড়া পাচ্ছি না। ফলে আর্থিক কষ্টে ভুগতে হচ্ছে পরিবার নিয়ে।
সড়কটি সংস্কার বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) লালমনিরহাট জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ আলী খান মুঠোফোনে জানান, সড়কের ভাঙা অংশ সংস্কারে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই সংস্কার কাজ শুরু হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়