কক্সবাজার : জহিরুল হত্যার ঘটনায় শিবির নেতা গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

‘ভয়কে জয়’ করেছেন এসএসসি পরীক্ষার্থীরা

পরের সংবাদ

যশোর-খুলনা মহাসড়ক : পিচ ফুলে মরণফাঁদে পরিণত ১৯ কিমি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এস এম রফিকুল আলম, নওয়াপাড়া (যশোর) থেকে : ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত যশোর-খুলনা মহাসড়ক যেন এক মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে যশোরের সদর উপজেলার বসুন্দিয়া থেকে শুরু করে অভয়নগর উপজেলার শেষ অংশ রাজঘাট পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার রাস্তার বিভিন্ন স্থানে পিচ ফুলে গিয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। পিচ ফুলে ওঠায় ছোট বড় ঢিবির সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ব্যস্ততম এই সড়কে চলাচলরত আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার যানবাহনসহ পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে খুবই বেগ পেতে হচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের যশোর কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রায় ৩০৫ কোটি ৫৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ব্যয়ে দুটি প্যাকেজের মাধ্যমে মহাসড়কটির ৩৮ দশমিক ০৫৪ কিলোমিটার পুনর্র্নির্মাণ করা হয়। ২ নম্বর প্যাকেজে অভয়নগর উপজেলার রাজঘাট থেকে যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া মোড় পর্যন্ত ১৪৭ কোটি ৫৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকায় ১৯ দশমিক ০৫৪ কিলোমিটার পুনর্নির্মাণের কাজ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড। ২০১৮ সালের ২২ মার্চ শুরু হওয়া এই অংশের পুনর্র্নির্মাণ কাজ ২০২০ সালের ২০ মার্চ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় বাড়িয়ে ওই বছরেই কাজ শেষ হয়। সম্প্রতি সরজমিন দেখা গেছে, মহাসড়কের প্রায় ১৯ কিলোমিটার অংশের যেখানে ঢিবির সৃষ্টি হয়েছে সেই জায়গাগুলো কেটে সমান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোথাও পুরনো ইট, পাথরের গুঁড়া ব্যবহার করে ঠিক করা হচ্ছে। এতে পিচ দেয়ার কাজ শেষ করার পর অন্তত তিনবার মহাসড়কটির ওই অংশ মেরামত করতে হয়েছে। কিন্তু যানবাহন চলাচলের উপযোগী না হওয়ায় ঘটতে থাকে একের পর এক দুর্ঘটনা। মহাসড়কটি ব্যস্ততম হওয়ায় এবং ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি পণ্যবোঝাই করে মোটর গাড়ি চলাচলের কারণে সড়কটির এই অবস্থা হয়েছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। অর্থাৎ সড়কটির বেহালের জন্য নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই করা ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যানগুলোকেই দায়ী করা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত বিভিন্ন দ্রব্যের পাশাপাশি বিটুমিনের গ্রেড নিয়েও সচেতন মহলের প্রশ্ন রয়েছে এবং প্রদত্ত কাজ ঠিকমতো তদারকি না হওয়ার কারণেই এমনটি হয়েছে বলে সচেতন মহল মনে করে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ফারুক হোসেন বলেন, যথাযথভাবে মহাসড়কটির নির্মাণের কাজ করা হয়েছে। কিন্তু মহাসড়কটিতে প্রচুর ভারী যানবাহন চলাচল করে। এ ছাড়া অভয়নগর উপজেলার ভাঙা গেট এলাকায় মহাসড়কের দুই পাশে অসংখ্য ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে। পিচের কাজ করার সময় তাপমাত্রাও অনেক বেশি ছিল। এসব কারণে নওয়াপাড়া থেকে বসুন্দিয়া মোড় পর্যন্ত অংশে মহাসড়কটি বারবার খারাপ হচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের যশোর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মোয়াজ্জেম হোসেনও ভারী যানবাহন চলাচলকে মহাসড়ক বেহালের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, মহাসড়কটির আট কিলোমিটার অংশ ড্যামেজ হয়ে গেছে। বিষয়টি তদন্ত করা হবে। পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়