দেয়াল চাপায় শিশুর মৃত্যু : কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিস

আগের সংবাদ

বিজয়ী বিদ্রোহীদের ভাগ্যে কী আছে : সিদ্ধান্ত অমান্যকারীরা সাময়িক বহিষ্কার > ১৯ নভেম্বর আ.লীগের সভায় আসতে পারে নতুন সিদ্ধান্ত

পরের সংবাদ

সেলিনা হোসেন ও ফাতেমা আবেদীন : হুমায়ূন সাহিত্য পুরস্কার পেলেন দুই কথাশিল্পী

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন ও ফাতেমা আবেদীন পেলেন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার। গতকাল শুক্রবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য সেলিনা হোসেন এবং নবীন সাহিত্যশ্রেণিতে ফাতেমা আবেদীন ‘মৃত অ্যালবাট্রস চোখ’ গল্পগ্রন্থের জন্য এ পুরস্কার লাভ করেন। পুরস্কার হিসেবে সেলিনা হোসেনকে ৫ লাখ টাকা ও ফাতেমা আবেদীনকে ১ লাখ টাকার চেক দেয়া হয়। এক্সিম ব্যাংক ও অন্যদিন যৌথভাবে এ পুরস্কার দেয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই হুমায়ূনের প্রিয় দুটি গান ‘যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো এক বরষায়’ ও ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই চিরদিন কেন পাই না’ গেয়ে শোনান মেহের আফরোজ শাওন। প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সম্মাননীয় অতিথি ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন হুমায়ূন আহমেদের ছোট ভাই মুহম্মদ জাফর ইকবাল, হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও এক্সিম ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মো. আব্দুল বারী। স্বাগত বক্তব্য দেন ‘অন্যদিন’-এর সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে সেলিনা হোসেনকে নিয়ে প্রশংসা বচন পাঠ করেন বিচারকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ এবং ফাতেমা আবেদীনকে ঘিরে লেখা প্রশংসা বচন পাঠ করেন বিচারকমণ্ডলীর আরেক সদস্য কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন।
কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, সাহিত্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে। জীবনের প্রতিফলন ঘটে সাহিত্যে। নতুন প্রজন্মকে সাহিত্য পাঠে আগ্রহী করে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষাদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সাহিত্য পাঠে আগ্রহী করলে তারা মানবিক মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে।
ফাতেমা আবেদীন বলেন, আমি সাধারণ মানুষকে নিয়ে লিখেছি। এই

লেখার মধ্য দিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছাতে চাই। এ পুরস্কার আমাকে লেখলেখিতে আরো উৎসাহী করবে।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, টিভিতে আমার জনপ্রিয়তার পেছনে হুমায়ূনের অবদান রয়েছে। তার নাটকে অভিনয় করেই এই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছি। হুমায়ূনের সঙ্গে অনেক আনন্দময় সময় কাটিয়েছি। তার শূন্যতা কখনোই পূরণ হওয়ার নয়। তার কথা প্রতিদিন প্রতিক্ষণে মনে হয়।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, পাঠক হুমায়ূন আহমেদকে হৃদয় দিয়ে ভালোবেসেছে। তবে এ দেশের অনেক বড় লেখক তার জীবদ্দশায় তাকে গ্রহণ করেননি। কিন্তু হুমায়ূন একে পাত্তা দেননি। হুমায়ূন অনেক বই পড়তেন। এত বই পড়তে আমি আর কাউকে দেখিনি। যারা লেখক হতে চান, তাদের হুমায়ূনের এই অভ্যাসের কথা সবসময় বলি।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, সেলিনা হোসেনকে সম্মাননা দিয়ে আমরা নিজেরাও সম্মানিত হলাম। এ পুরস্কার অর্জন তরুণ লেখক ফাতেমা আবেদিনের লেখক জীবনের দরজা খুলে দিল।
মাজহারুল ইসলাম বলেন, হুমায়ূন আহমেদ অন্যদিনের খুব কাছের মানুষ ছিলেন। প্রতি বছর তরুণ ও প্রবীণ লেখকদের সম্মান জানিয়ে তাকে স্মরণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়