চকবাজারে প্লাস্টিক গোডাউনে আগুন

আগের সংবাদ

তথ্যপ্রযুক্তি সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি : বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর ফ্রিল্যান্সার দেশ

পরের সংবাদ

ব্রি. জে. আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদের : ৫ বছরের মধ্যে সবাই স্মার্টকার্ড পাবে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আইডিয়া প্রকল্পের দ্বিতীয় ফেজের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদের ভোরের কাগজকে জানিয়েছেন, দেশে প্রায় ৫ লাখ লোক দ্বৈত ভোটার হয়েছেন যা শান্তিযোগ্য অপরাধ। এগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। গতকাল বুধবার ভোরের কাগজকে তিনি জানান, অনেকে বুঝে আবার অনেকে কোনো খারাপ উদ্দেশ্যে দ্বৈত ভোটার হয়েছেন। আমরা দেখছি যারা না বুঝে এ কাজটা করেছেন তাদের একটা রেখে বাকিটা বাদ দেয়া হবে, আর যারা অসৎ উদ্দেশে হয়েছেন তাদের বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেব।
আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদের জানান, ইতোমধ্যে ইসির এনআইডি উইং প্রায় ৫ কোটি স্মার্ট কার্ড বিতরণের জন্য উপজেলা অফিসগুলোতে পাঠিয়েছে। এর অধিকাংশ বিতরণ হয়ে গেছে। ইসির হাতে এখনো প্রায় ২ কোটি ব্লাঙ্ক কার্ড রয়েছে যেগুলোতে তথ্য সংযোজনের কাজ চলছে। কার্ডগুলো দ্রুত গ্রাহকদের হাতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। তবে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি বছর ৬০ লাখ করে স্মার্ট কার্ডে তথ্য সংযোজন ও বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, আমাদের ৯ কোটি স্মার্ট কার্ড দেবার জন্য ফ্রান্সের কোম্পানি অর্বাথ্রুর সঙ্গে চুক্তি হয়। তারা প্রথমে ৫ কোটি স্মার্ট কার্ড দেয়। পরে আরো ২ কোটি ব্লাঙ্ক কার্ড দেয়, অর্থাৎ মোট ৭ কোটি কার্ড তারা আমাদের দিয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ২ কোটি ফাঁকা কার্ড। অর্বাথ্রুর কাছে চুক্তি মোতাবেক আরো প্রায় ২ কোটি কার্ড আমরা পাব। তবে অর্বাথ্রুর কাছে আমরা যে ২ কোটির মতো কার্ড পাব তার জন্য ওরা সব মিলিয়ে ৫২ মিলিয়ন ইউএস ডলার চেয়েছিল। এটা আমরা আলোচনা করে ২৬ মিলিয়ন ডলারে কমিয়ে এনেছি। এ অর্থ দিলে ডিসেম্বরের মধ্যে ওরা বাকি কার্ড পাঠিয়ে দেবে বলে জানান আইডিয়া-২ প্রকল্প পরিচালক। এতে ২৬ মিলিয়ন ডলার অর্থ সাশ্রয় হয়েছে। এর ফলে ইসির হাতে ৯ কোটি স্মার্ট কার্ড এসে যাবে। তবে চলতি বছরের মধ্যে ৮ কোটি কার্ড তথ্য সংযোজন প্রক্রিয়া শেষে মাঠে বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ১১ কোটি ১৯ লাখ ভোটার রয়েছে। কিন্তু সরকার আমাদের প্রতি বছর ৬০ লাখ করে স্মার্ট কার্ড সরবরাহ করার নির্দেশনা দিয়েছে। সে হিসাবে বাকি ৩ কোটি ভোটারের জন্য ৫ বছরের মধ্যে স্মার্ট কার্ড সরবরাহ করব আমরা। তবে প্রত্যেককে স্মার্ট কার্ড দেয়া হবে।
তিনি জানান, প্রতি কার্ডের জন্য ১ দশমিক ৬০ ডলার খরচ ধরা হয়েছে, সেই সঙ্গে তথ্য সংযোজন করা, পরিবহন, বিতরণ ইত্যাদি মিলে প্রায় ২ ডলার বা ১৭০ টাকা করে প্রতি কার্ডে খরচ পড়বে।
আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদের বলেন, অর্বাথ্রু বাদেও ইসির বাকি ২ কোটি কার্ড দরকার হবে। এজন্য আমরা দেশীয় প্রতিষ্ঠান বিএমটিএফের কাছ থেকে কেনার ব্যবস্থা করছি। এতে অনেক টাকা কম খরচ হবে বলেও জানান তিনি। পিডি জানান, ৩ কোটি কার্ড কেনা থেকে সরবরাহ করা পর্যন্ত ৪৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। আর অর্বাথ্রুর কাছ থেকে যে ব্লাঙ্ক কার্ড পাব সেগুলোর তথ্য সংযোজন ও সরবরাহ করতে আরো ৭৪ কোটি টাকা রয়েছে বলে জানান তিনি।
পিডি বলেন, অনেক গ্রাহকের ডাটার ভেরিয়েশন বা দুই রকম তথ্য আসছে। কিছু ঠিকানা বা বাবা মায়ের নামে, জন্ম তারিখ, পাসপোর্ট নম্বর ইত্যাদি ভুল আসছে- এসব ত্রæটির কারণে বিশেষ কিছু গ্রাহকের স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট হতে সমস্যা হচ্ছে। পরে তথ্য সংশোধন করে স্মার্ট কার্ড দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, স্মার্ট কার্ডের ভুলও হচ্ছে কিছু কিছু, সংশোধনও করা যাচ্ছে। তবে ভুলটা উভয়ের জন্য হয়। গ্রাহক যখন ফর্ম পূরণ করেন তখন অনেক সময় ভুল লেখেন, আবার আমাদের ডাটা ওপারেটরদেরও ভুল হয়। তবে সঠিক তথ্য পেলে সব সংশোধন করা সম্ভব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়