জাল সার্টিফিকেট তৈরি চক্রের ৫ সদস্য রিমান্ডে

আগের সংবাদ

স্মার্টকার্ড নিয়ে আনস্মার্টকাণ্ড!

পরের সংবাদ

শাহবাগে অবস্থান : তেল ও বাস ভাড়া বাড়ানো রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জ্বালানি তেল ও বাস ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বাম ধারার ছাত্র সংগঠনগুলো। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে তারা রাজধানীর ব্যস্ততম এই সড়কে অবস্থান নেয়।
শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয়ার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন এলাকায় জড়ো হন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে তারা মিছিল নিয়ে শাহবাগে আসেন। এতে অংশ নেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন (গণসংহতি), বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্কসবাদ), গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের শতাধিক নেতাকর্মী। তাদের অবস্থানের কারণে শাহবাগ মোড়কে ঘিরে থাকা সবগুলো সড়কে যান চলাচল প্রায় ৪০ মিনিট বন্ধ ছিল। পরে পুলিশের অনুরোধে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে তারা অবস্থান কর্মসূচি শেষ করলে যান চলাচল সচল হয়।
এ সময় বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, দেশে আজ তেলের রাজনীতি চলছে। এ তেল দিয়ে সাধারণ জনগণ ছাড়া সবাই লাভবান হচ্ছে। এ তেলের দাম বাড়ার প্রভাব দেশের সব কিছুর ওপর পড়ছে। এটি কোনো সাধারণ বিষয় নয়, ভাড়া বাড়ানোর চক্রান্ত সারাদেশের মানুষকে ভুক্তভোগী করছে। এ জ্বালানি তেল এবং বাস ভাড়া বাড়ানোর চক্রান্তের বিরুদ্ধে কৃষক-শ্রমিক, ছাত্র-জনতা সবাইকে এক জায়গায় দাঁড়াতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকার এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসবে ততক্ষণ আমাদের আন্দোলন চলবে।
ছাত্র ইউনিয়নের সহসভাপতি অনিক রায় বলেন, জনগণের ওপর দিয়ে ছড়ি ঘুরিয়ে এ সরকার টিকে আছে। জ্বালানি তেলসহ সব কিছুর দাম বাড়ায় জনগণের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। এর সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে বাস ভাড়াও। এভাবে আর চলতে পারে না। আসুন একসঙ্গে এ সরকারের অবৈধ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই করি, এ লড়াইয়ে আমরাই বিজয়ী হব।
গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দিন বলেন, অস্বাভাবিকভাবে জ্বালানি তেলের দাম ও বাস ভাড়া বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জন্য খুবই মর্মান্তিক। সারাদেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। দাম না কমালে আমরা লাগাতার কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
এ সময় আরো বক্তব্য দেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি শুভাশীষ চাকমা, ছাত্র ফেডারেশন সভাপতি (গণসংহতি) মিতু সরকার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ইকবাল কবীর প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ৩ নভেম্বর ডিজেলের দাম ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করে সরকার, যা ৪ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়। তখন পরিবহন মালিকরা বলেন, এত দামে ডিজেল কিনে বিদ্যমান ভাড়ায় গাড়ি চালানো সম্ভব নয়। পরে মালিকরা শুক্রবার সকাল থেকে বাসসহ পণ্যবাহী যান চালানো বন্ধ করে দেন। যদিও মালিক সংগঠনগুলোর দাবি, ধর্মঘটের বিষয়ে তাদের কোনো নির্দেশনা ছিল না। অঘোষিত ওই ধর্মঘটের ফলে সারাদেশে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। এরপর ভাড়া বাড়ানোর শর্তে তিন দিন পর বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়