ভিসি এয়ার মার্শাল নজরুল : ওবিই হচ্ছে জ্ঞানগর্ভ ও চিন্তা উদ্দীপক কর্মশালা

আগের সংবাদ

টানা ৪ জয়ে সেমিতে পাকিস্তান

পরের সংবাদ

বাউফলের নওমালা ইউপি নির্বাচন : নৌকার সমর্থকদের ওপর বিদ্রোহী পক্ষের গুলি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য বাউফলের নওমালা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার কর্মী-সমর্থকদের লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে নওমালার নগরের হাট এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, নওমালা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী কামাল হোসেন বিশ্বাসের বড় বোন মমতাজ বেগম (৫৩) গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে কয়েকজন নারী সমর্থক নিয়ে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগে যান। এ সময় বিদ্রোহী প্রার্থী শাহজাদা হাওলাদারের (ঘোড়া মার্কা) সমর্থক আমির সরদারের ছেলে ওহাব, আমির বণিকের ছেলে বেল্লাল এবং আবুল মিয়ার ছেলে সোহাগসহ ২০-২৫ জনের একটি দল তাদের হেনস্থা করে। এ খবর জানাজানি হলে নৌকার সমর্থকরা তাদের উদ্ধারের জন্য ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দিকে রওনা হলে নগরের হাটে বিদ্রোহী প্রার্থী শাহজাদা হাওলাদারের বাড়ি থেকে নৌকার সমর্থকদের লক্ষ্য করে ৪-৫ রাউন্ড গুলি করা হয়। এ সময় ২০০ গজের মধ্যেই পুলিশ অবস্থান করছিল।
নৌকার প্রার্থীর সেঝ ভাই ছুটিতে বাড়িতে আসা বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার মশিউর রহমান লাভলু ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, আমার বোনকে হেনস্থার হাত থেকে উদ্ধার করতে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কয়েকজন সমর্থক রওনা হলে প্রতিপক্ষ শাহজাদা হাওলাদারের বাড়ি থেকে ইসমাইল মৃধার ছেলে মিজান (৩৫) ওরফে পিস্তল মিজান ওই গুলি করে। নৌকার প্রার্থী কামাল হোসেন বিশ্বাস অভিযোগ করেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বড় ভাই আবু তাহের খান বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করছেন। এ বিষয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী শাহজাদা হাওলাদার জানান, আমি ৯ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগে ছিলাম এবং আমার বাড়িতে কোনো লোক ছিল না। আমার বাড়ি থেকে কেউ গুলি করেছে এমন কথা মিথ্যা। বাউফল থানার ওসি আল মামুন গুলির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন জানান, গুলির ঘটনার পর আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এখন পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়