‘ভীষণ এক্সাইটেড ও নার্ভাস’

আগের সংবাদ

নির্বাচন ঘিরে বারবার নির্যাতন : ইস্যু যাই হোক হামলার লক্ষ্যবস্তু ‘সংখ্যালঘু’, স্বার্থ উদ্ধারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ‘ধর্ম’

পরের সংবাদ

লঙ্কানদের হারিয়ে সেমির স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল প্রোটিয়ারা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবার উত্তেজনা ছড়াচ্ছে অনেক। গত দুই দিনে টানা তিনটি ম্যাচে দেখা মিলেছে রোমাঞ্চের। পরশুদিন বাংলাদেশকে মাত্র ৩ রানে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওইদিনই পাকিস্তান আফগানিস্তানের বিপক্ষে তুলে নেয় দারুণ এক জয়। গতকাল তৃতীয় দিনও দেখা মিলল রোমাঞ্চের। এটি দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচে। চরম উত্তেজনাকর ম্যাচে শেষ মূহুর্তে গিয়ে জয় তুলে নেয় প্রোটিয়ারা।
গতকাল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীরঙ্কা। ম্যাচটিতে শ্রীলঙ্কাকে চার উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভার খেলে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান করে ২০১৪ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। জবাবে মাত্র এক বল বাকি থাকতে ছয় উইকেট হারিয়ে লক্ষে পৌছাতে সমর্থ হয় প্রোটিয়ারা। ম্যাচের শেষ দিকে শ্রীলঙ্কার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দারুণ রোমাঞ্চ ছড়ায়। শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। সেই রান ডেভিড মিলার ও কাগিসো রাবাদা মিলে করে ফেলেন। এই জয়ে তিনটি ম্যাচের মধ্যে দুটি ম্যাচেই জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে এখন সেমির স্বপ্ন বাচিয়ে রাখল তারা।
ম্যাচটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তেম্বা ভাবুমা সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন ডেভিড মিলার। তিনি ১৩ বল খেলে ২৩ রান করেন। অপরদিকে রাবাদা ৭ বল খেলে ১৩ রান করেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট তুলে নেন ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য প্রথমেই চাপে পরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা দলীয় ২৬ রানের মাথায় দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও রেজা হ্যান্ড্রিকসে হারায়। ম্যাচের ২৫ রানের সময় হ্যান্ড্রিকস দুশমান্ত চামিরার বলে এলবিডব্লিউ আউট হন। এরপর দলের রানের খাতায় মাত্র এক রান যোগ হতেই চামিরার সেই ওভারেই ক্যাচ আউট হন ডি কক। এরপর ক্রিজে আসেন রাসেল ভেন ডার ডুসেন ও তেম্বা ভাবুমা। তারা দুজন মিলে এ ধাক্কা সামাল দেন। তবে ম্যাচের ৪৯ রানের সময় রান আউট হন রাসেল ভেন ডার ডুসেন। তিনি ১১ বল খেলে ১৬ রান করেন। আর ডার ডুসেন আউট হওয়ার পর ফের চাপে পরে তারা। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে ধরে খেলতে থাকেন অধিনায়ক ভাবুমা। তাকে সঙ্গ দেন এইডেন মাক্রাম। এ দুজন মিলে গড়ে তোলেন বড় পার্টনারশিপ। মাক্রাম ২০ বল খেলে ১৯ রান করে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে বোল্ড আউট হন। ভাবুমা ও মাক্রাম মিলে যদিও বড় পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন, কিন্তু তারা বলে বলে রান করতে থাকেন। ফলে যখন মাক্রাম যখন আউট হন তখন প্রোটিয়ারা আরেকবারের চাপে পরে যায়। তখন ভাবুমা মেরে খেলার চেস্টা করেন। কিন্তু তিনি ৪৬ রান করে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে ক্যাচ আউট হন। তখন দলের সংগ্রহ ছিল ১১২। এরপর ক্রিজে আসা ডোয়াইন প্রেটোরিয়াস ১ বল খেলে কোন রান করেই পরের বলে হাসারাঙ্গার বলে আউট হন। তখন মনে হচ্ছিল হয়তো শ্রীলঙ্কাই জিতে যাবে। কিন্তু রাবাদা ও ডেভিড মিলার মিলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন।
এর আগে লঙ্কানদের বিপক্ষে বোলিং করার সময়ও বেশ দাপটেই খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিন ব্যাট হাতে প্রোটিয়া বোলারদের সামনে শুরুটা ভালো করতে পারেনি লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। ফলে সব উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান তুলতে সক্ষম হয় শ্রীলঙ্কা। তবে দলের বিপদেও ব্যাট হাতে ঝড় তুলে পাথুম নিশানকা হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।
এদিন আগে ব্যাট করে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান করে। কুশল পেরেরা ও পাথুম নিশানকার জুটি ছিল মাত্র ২০ রানের। চতুর্থ ওভারে ৭ রান করে কুশল বোল্ড হন আনরিখ নর্টিয়ের বলে। তারপর দারুণ জুটির আভাস দেন নিশানকা ও চারিথ আসালানকা। কিন্তু ৪১ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি তারা দুজন মিলে। নবম ওভারে আসালানকা ডাবলস নিতে গিয়ে রান আউট হন। ডিপ থেকে কাগিসো রাবাদার দারুণ থ্রোয়ে লঙ্কান ব্যাটসম্যান আসার আগেই স্টাম্প ভেঙে দেন

উইকেটকিপার কুইন্টন ডি কক। ১৪ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ২১ রান করেন আসালানকা। পরের ওভারে ভানুকা রাজাপাকসা ৩ বল খেলে খালি হাতে ফেরেন তাবরাইজ শামসিকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন। পাথুম নিশানকা ৫৮ বলে ৭২ রান করে আউট হলে আর কেউ ব্যাট হাগত জ্বলে ওঠতে পারেনি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালে বড় সংগ্রহ তুলতে ব্যর্থ হয় শ্রীলঙ্কা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়