‘ভীষণ এক্সাইটেড ও নার্ভাস’

আগের সংবাদ

নির্বাচন ঘিরে বারবার নির্যাতন : ইস্যু যাই হোক হামলার লক্ষ্যবস্তু ‘সংখ্যালঘু’, স্বার্থ উদ্ধারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ‘ধর্ম’

পরের সংবাদ

বালিয়াকান্দির গড়াই নদীর চর দখল : বন্দোবস্ত পেলেও ভোগ করতে পারছে না ১৯ ভূমিহীন পরিবার

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি : বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের কোনাগ্রাম গড়াই নদীর জেগে ওঠা চরের ৯.৪২ একর জমি বন্দোবস্ত পেলেও ভোগদখল করতে পারছে না ১৯টি ভূমিহীন পরিবার। রাতে ও দিনে এলাকার প্রভাবশালী চক্র জমি দখল করে চাষাবাদ শুরু করেছে। এতে দুগ্রুপের মধ্যে যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গড়াই নদীর জেগে ওঠা ১৮.৮৪ একর জমির মধ্যে ৯.৪২ একর জমি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের কোনাগ্রামের ফতেহ আহম্মেদ, রাজ্জাক শেখ, সিরাজুল ইসলাম, শাহিন বিশ্বাস, রব মোল্যা, মসিয়াল মণ্ডল, আতিয়ার মণ্ডল, মকলেছ মণ্ডল, হবিবর মণ্ডল, মালেক মণ্ডল, আজিম, ইসহাক মণ্ডল, হাদি মহাজন, আজিজ মহাজন, সিদ্দিক মণ্ডল, কালাম মহাজন, ইলাহী মণ্ডল, রফিক মোল্যা ও তাদের স্ত্রীদের নামে ৩৮ জনকে ভূমিহীন হিসেবে দলিলমূলে ২০১০ সালে বন্দোবস্ত দেয়া হয়।
ওই জমিতে কয়েকজন ভূমিহীন বসতবাড়ি উত্তোলন করে বসবাস করাসহ চাষাবাদ করে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হলেও ভূমিহীনদের পক্ষে রায় হয়।
তারপরও গত বছর ২০২০ সালে এ মৌসুমে জমির দখলকে কেন্দ্র করে দুটি গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়াতে উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানা, বালিয়াকান্দি থানার ওসি তারিকুজ্জামান, নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঘটনাস্থলে গিয়ে চাষাবাদ বন্ধ রাখাসহ সুরাহার উদ্যোগ নেন।
এরপরও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কয়েক দফা হামলা-মামলার ঘটনা ঘটেছে। দীর্ঘদিনেও বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় এখন চাষাবাদের মৌসুম শুরু হওয়ার কারণে আবারো জমির দখলকে কেন্দ্র করে দুটি গ্রুপ যে কোনো সময় মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যে কোন সময় সংঘর্ষ বেধে যেতে পারে।
ফতেহ আহম্মেদ, আজিজ মহাজনসহ বেশ কয়েকজন ভূমিহীন দলিল গ্রহীতা অভিযোগ করে বলেন, সরকার আমাদের দলিলের মাধ্যমে বন্দোবস্ত দিয়েছে।
এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের চাষাবাদ করতে নিষেধ করায় আমরা জমি ফেলে রেখেছি। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এলাকার প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চক্র রাতের অন্ধকারে ও দিনের বেলায় জমি চাষ করে দখলে নিচ্ছে।
আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। দখলদারদের বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষ হবে। আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা বন্দোবস্ত পেলেও বৈধ অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এ ঘটনায় অধিকার বঞ্চিতদের মাঝে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাসিবুল হাসান বলেন, আমি সরজমিন গিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই সুরাহার জন্য যত দ্রুস সম্ভব উদ্যোগ নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়