‘ভীষণ এক্সাইটেড ও নার্ভাস’

আগের সংবাদ

নির্বাচন ঘিরে বারবার নির্যাতন : ইস্যু যাই হোক হামলার লক্ষ্যবস্তু ‘সংখ্যালঘু’, স্বার্থ উদ্ধারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ‘ধর্ম’

পরের সংবাদ

দোয়ারাবাজার : সেতুতে উঠার আগে পেরোতে হয় সাঁকো

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বজলুর রহমান, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) থেকে : পাকা সেতুর উপর নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো। এই সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় তিন ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষকে। সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের পুটিপুশি গ্রামের প্রধান সড়কে এই সেতুটির অবস্থান। ২০১৯ সালে ২৯ জুলাই দ্বিতীয় দফা বন্যায় ধসে পড়ে পুটিপুশি সেতু। সেই থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় দুবছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও সেতুটি পুনর্নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। এতে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জেলা শহরের সঙ্গে দোয়ারাবাজার উপজেলার তিন ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম পুটিপুশি গ্রামের সড়ক। এই সড়কটি জেলা শহর থেকে সরাসরি দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের আমবাড়ী-পুটিপুশি হয়ে সুরমা নদীর পাড়ে নূরপুর সিএনজি স্টেশনে এসে থেমেছে। উপজেলার মান্নারগাঁও, সুরমা, লক্ষীপুর ও বোগলাবাজার ইউনিয়নের মানুষ এই সড়ক দিয়ে জেলা শহরে প্রতিনিয়ত আসা-যাওয়া করে থাকে। সড়কের পুটিপুশি ব্রিজটি ধসে যাওয়ার পর থেকে বিকল্প কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় চলাচলের একমাত্র ভরসা সেতুর উপর বাঁশের সাঁকো। নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে গাড়ি পারাপার করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় বাসিন্দা রিটন দাস জানান, সেতুটি ধসে পড়ার পর থেকে আমরা কী যে কষ্টের মধ্যে আছি তা এদিক দিয়ে আসা-যাওয়া না করলে বুঝা যাবে না। সময়মতো কর্মস্থলে যাওয়া যায় না। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে বিরম্বনায় পড়তে হয়।
সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক রাসেল মিয়া জানান, প্রায় দুবছর ধরে ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে নূরপুর সিএনজি স্টেশনের গাড়ি পারাপার করতে হচ্ছে। নড়বড়ে সাঁকো হওয়ায় বেশ কয়েকবার গাড়ি খালের পানিতে পড়েছে। আমরা খুব অসু?বিধার মধ্যে আছি। মান্নারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য দীপক দাস জানান, পুটিপুশি ব্রিজ ধসে যাওয়ার পর উপজেলা পিআইও অফিস, এলজিইডি অফিস ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক মহোদয়কে আমি অবহিত করেছি। সাময়িক চলাচলের সুবিধার্থে এলাকাবাসীকে নিয়ে ব্রিজের উপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলা এলজিইডি অফিসের প্রকৌশলীরা সরজমিন এসে দেখে গেছে এবং কিছু দিন আগে সয়েল টেস্ট করে গেছে। জানতে পেরেছি ব্রিজটি এখন টেন্ডারের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ব্রিজটি দ্রুত পুনর্নির্মাণের দাবি জানাই।
সুনামগঞ্জের এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম বলেন, আমি ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়