‘ভীষণ এক্সাইটেড ও নার্ভাস’

আগের সংবাদ

নির্বাচন ঘিরে বারবার নির্যাতন : ইস্যু যাই হোক হামলার লক্ষ্যবস্তু ‘সংখ্যালঘু’, স্বার্থ উদ্ধারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ‘ধর্ম’

পরের সংবাদ

আজ ভারত-নিউজিল্যান্ড হাইভোল্টেজ ম্যাচ

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হট ফেবারিটের তালিকায় সবার প্রথমে থাকা ভারত যাত্রাটা শুরু করেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে হার দিয়ে। অন্যদিকে গ্রুপের অন্য পরাশক্তিধর দল নিউজিল্যান্ডও প্রথম ম্যাচটা হেরেছে বাবর আজমদের বিপক্ষে। সেমিফাইনাল যাত্রায় অস্তিÍত্ব টিকিয়ে রাখতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেতে মরিয়া দুদলই। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ রাত ৮টায় কিউদের মোকাবিলায় মাঠে নামবে বিরাট কোহলিরা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের সাফল্যে শূন্যের ঘরে। বিশ্বকাপে দুদল পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে দুবার। এর মধ্যে দুবারই জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। দুদেশের প্রথম দেখা ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম বিশ্বকাপ আসরে। ওই আসরে ভারত চ্যাম্পিয়ন হলেও গ্রুপপর্বে ১০ রানের ব্যবধানে হেরেছিল ব্ল্যাক ক্যাপদের বিপক্ষে। এরপর চার আসরে দুদলের মধ্যে দেখা না হলেও ২০১৬ সালে নিজেদের ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় ভারত। নিজেদের মাঠে পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি কোহলিরা। নাগপুরে কিউইদের দেয়া ১২৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৭৯ রানেই গুঁড়িয়ে যায় ভারতের ইনিংস।
তবে সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্স হিসেব করলে নিউজিল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে আছে ভারত। আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে যেখানে ভারতের অবস্থান দুইয়ে, সেখানে ব্ল্যাক ক্যাপসদের অবস্থান সেরা চারে। তবে র‌্যাঙ্কিং ব্যবধান টি-টোয়েন্টিতে শক্তিমত্তার পার্থক্য ফুটিয়ে তুলতে পারে না। বিশ্বকাপের দুই ম্যাচ বাদ দিলে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৪ ম্যাচে। এর মধ্যে ৮ ম্যাচে জয় ভারতের বাকি ৬ ম্যাচে ব্লাক ক্যাপসদের। যদি শেষ পাঁচ ম্যাচের জয়ের পরিসংখ্যান দেখা হয়, তাহলে শতভাগ সাফল্য ভারতের। অর্থাৎ শেষ পাঁচ ম্যাচের সবকটিতে জয় কোহলিদের। এর সবগুলো ম্যাচই হয়েছে আবার নিউজিল্যান্ডের মাঠে। তবে বিশ্বকাপ আসরে সফল ব্লাক ক্যাপসরাই।
এদিকে দুবাইয়ের মাঠে একটি জয় বলে দিবে সেমিফাইনালের পথ কাদের জন্য সুগম। বিশ্বকাপের গ্রুপ-২ এ শক্তিশালী তিন দল ভারত, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। এর মধ্যে সেরা দুদল যাবে সেমিফাইনালে। পাকিস্তান ভারত ও নিউজিল্যান্ড হারিয়ে ইতোমধ্যে তাদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়ে দিয়েছে। এরপর আফগানিস্তানকে হারিয়ে ৩ ম্যাচে পয়েন্ট সংখ্যা ৬। বাবরদের পরবর্তী দুই প্রতিপক্ষ নামিবিয়া ও স্কটল্যান্ড। ফলে তাদের সেমিফাইনাল অনেকটাই নিশ্চিত বলা যায়। কিন্তু এখনো অনিশ্চিত বিশ্বকাপের হট ফেবারিট দল ভারত ও নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনাল যাত্রা। বলা যায় দুবাইয়ের ম্যাচে যারা জিতবে সেমিফাইনালের পথে একধাপ এগিয়ে যাবে তারা। তাই এই ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুদলের জন্য। তবে অঘটন ঘটাতে পারে আফগানিস্তানও।
এবারের বিশ্বকাপে হট ফেবারিটের তকমা পাওয়া ভারত বেশ শক্তিশালী দল গড়েছে। ব্যাটিং বিভাগে সেরা দল ভারতের স্কোয়াডে আছে অধিনায়ক বিরাট কোহলি, রোহিত শার্মা, লোকেশ রাহুল, সূর্য কুমার যাদভ, ঋসভ পন্ত, ইশান কিশান। কোহলি গত দুই বিশ্বকাপ আসরে টুর্নামেন্ট সেরা নির্বাচিত হয়েছেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোহলির ব্যাটিং এভারেজ ৮৩.৪০, যা টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক যে কোনো ব্যাটসম্যানের তুলনায় দ্বিগুণ। চলতি বিশ্বকাপে আসরে প্রথম ম্যাচে তিনি পাকিস্তানের বিপক্ষে তুলে নিয়েছেন ফিফটি, যা তার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারে দশম অর্ধশতক রানের ইনিংস। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় চারে থাকা কোহলির সামনে সুযোগ রয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের রেকর্ড গড়ার। চলতি আসরের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে জ¦লে উঠতে না পারলেও রোহিম শার্মাও কোনো অংশে কম নয়। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮ উইকেটে জয়ের দিনে দলকে ৬০ রানেই ইনিংস উপহার দেন রোহিত। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তার অবস্থান সাতে। তারও সুযোগ রয়েছে সেরা তিনে উঠে আসার। অন্যদিকে বোলিংয়ে জশপ্রিত বুমরাহ, মোহম্মদ শামি, ভুবনেশ্বর কুমাররা পটু যে কোনো দলের ব্যাটিং লাইন আপ ধসে দিতে। আর রবীন্দ্র জাদেজা, বরুণ চক্রবর্তীদের স্পিন ঘূর্ণিতে কাবু হতে পারে বিশ্বের সেরা ব্যাটিং লাইন আপও।
এদিকে নিউজিল্যান্ড পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হারলেও তারা ভারতের মতো এত সহজে হারেনি। বাবরদের বিপক্ষে ভালোই লড়াই চালিয়েছিল কিউই বোলাররা। ১৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৮৭ রানে পাকিস্তান তাদের ৫ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপদে পড়ে। আফগানিস্তান ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও বিধ্বংসী ইনিংস খেলে দলকে উদ্ধার করেন পাক ব্যাটসম্যান আসিফ আলী। তিনি ১২ বলে ২৭ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে হারলেও চলতি আসরে ট্রফির দাবিদার কেন উইলিয়ামসনরাও। পরপর দুই ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে তারা।
যদিও ভাগ্য সহায়ক না হওয়ায় ট্রফি ঘরে তুলতে পারেনি। এবার তাদের অন্যতম লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে তোলা। ভারতের মোকাবিলায় তাদের রয়েছে শক্তিশালী বোলিং বিভাগ। টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, জেমস নিশামের পেস বোলিং অ্যাটাকের সঙ্গে মিচেল স্যান্টনার, ইশ সোদিদের ঘূর্ণির মিশেলে উড়ে যেতে পারে যে কোনো দলের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপও। বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান মার্টিন গাপটিল তাণ্ডব চালিয়ে একাই নিতে পারেন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ। তাছাড়া কেন উইলিয়ামসন, ডেরেল মিচেল, নিশাম, ডেভন কনওয়ে, গেøন ফিলিপস, টিম সেইফার্টরা ব্যাটিংয়ে জ¦লে উঠলে ম্যাচ থাকবে তাদের নিয়ন্ত্রণেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়