সম্প্রীতির জমিনে শকুনের চোখ

আগের সংবাদ

ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান এখন ‘মেটা’

পরের সংবাদ

বেহাল হোমনার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম : মাঠ নয় যেন বিদ্যুতের খুঁটি রাখার স্থান!

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. কামাল হোসেন, হোমনা (কুমিল্লা) থেকে : বেহাল অবস্থা হোমনা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের। উপজেলার একমাত্র স্টেডিয়াম এটি। দেখলে মনে হবে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি রাখার স্থান বা পরিত্যক্ত কোনো জায়গা। কারণ, মাঠজুড়ে বিদ্যুতের খুঁটি এবং স্টেডিয়ামের পাকা ভবনটি ঝোপঝাড়ে ঢাকা।
জানা গেছে, উপজেলায় একটি স্টেডিয়াম নির্মাণ করতে পৌর এলাকার বর্তমান পৌর ভবনের সামনে ১৯৯৫ সালে ৮.৮৬ একর জায়গা ভরাট করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ভরাটের পর এই জায়গা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কাছে হস্তান্তর করে এবং ২০১৮ সালে এই মাঠকে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম ঘোষণা করে একটি পাকা ভবন ও অস্থায়ী গ্যালারি নির্মাণ করা হয়। এরপর একই বছর ২১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন। এরপর এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন ফুটবল ও ক্রিকেট ক্লাবের খেলোয়াড়রা এই মাঠে নিয়মিত ক্রিকেট ও ফুটবল খেলে আসছিলেন। এরই মাঝে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ মাঠের মধ্যে শত শত বিদ্যুতের খুঁটি এনে রাখা শুরু করে। খুঁটিবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে মাঠটির অনেক জায়গায় উঁচু নিচু হয়ে গেছে এবং মাঠে বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় মাঠটি সংকুচিত হয়ে বর্তমানে খেলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই খেলার মাঠে কয়েক বছর ধরে এ অবস্থা চলে এলেও নজর নেই কর্তৃপক্ষের। সরেজমিন শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মাঠের দক্ষিণ এবং পশ্চিম পাশের বেশিরভাগ জায়গায় বিদ্যুতের শত শত নতুন ও পুরনো খুঁটি রয়েছে। মাঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এবং খুঁটি রাখার কারণে মাঠ সংকুচিত হয়ে পড়েছে। পূর্বপাশের গোল পোস্টের পেছনে ও সামনে খুঁটি রাখা হয়েছে। কয়েকটি ট্রাক্টরে মাঠের মধ্য দিয়ে খুঁটি আনা নেয়া হচ্ছে। এদিকে স্টেডিয়ামটির এমন অবস্থা নিয়ে উপজেলার সাবেক ও বর্তমান ফুটবল ও ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
হোমনা পশ্চিমপাড়া ফুটবল দলের কৃতী খেলোয়াড় মো. সাইদুর বলেন, উপজেলায় একটি স্টেডিয়াম থাকার পরও সেটি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করায় আমরা সেটি ব্যবহার করতে পারছি না। আমি দ্রুত স্টেডিয়ামটি খেলার জন্য উপযুক্ত করে দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩-এর ডিজিএম আজিজুর রহমান বলেন, এই মাঠে বিদ্যুতের খুঁটি রাখলে খুব সহজেই হোমনা ও তিতাস উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আনা নেয়া যায়। আর বিদ্যুতের খুঁটিগুলো রাখা হয়েছে মাঠের এক পাশে। এতে তেমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমন দে বলেন, আমি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে আসা যাওয়া করি। স্টেডিয়ামটির এ অবস্থা দেখে অনেক দুঃখ লাগে। দেখি পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এগুলো কীভাবে সরানো যায়। মাঠটিকে খেলাধুলার উপযুক্ত করে তোলা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়